দ্বিতীয় ম্যাচে মিরপুরের কালো মাটিতে পরিবর্তন আসবে কি?

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের আগের দিন থেকেই আলোচনা ছিল মিরপুরের উইকেট নিয়ে। অনেকদিন পর ম্যাচের দিনও দেখা গেল কুচকুচে কালো উইকেট। প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ৭৪ রানে। তবে উইকেট নিয়ে বিতর্ক উঠেছে চরমভাবে।
প্রশ্ন উঠছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালেও এমন উইকেটে খেলে ক্রিকেটের উন্নতি আসলে কতটা হচ্ছে? বাংলাদেশের এই উইকেট নিয়ে আশ্চর্য হতে দেখা গেছে, ধারাভাষ্যকার পারভেজ মাহরুফকেও। তাই এমন আলোচনা-সমালোচনার পর কি পরিবর্তন আসবে দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেটে?
মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক। বাংলাদেশ যখনই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, প্রায় সময়ই মিরপুরে ঘুরে দাঁড়াতে দেখা যায় বাংলাদেশকে। এতে ফলাফলও পাওয়া হয়। আগের সিরিজগুলোতে উইকেটের রং এমন কালো থাকতো না। কিছুটা হলুদ ভাব দেখা যেত উইকেটে। এবার যেখানে ছেয়ে গেছে কালো রং।
দুদিন বিরতি দিয়ে আগামী ২১ অক্টোবর মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। সেই ম্যাচের জন্য আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) মিরপুরে উইকেট বানাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রধান পিচ কিউরেটর টনি হেমিং। নতুন উইকেটে খেলা হবে দ্বিতীয় ম্যাচ।
টনি হেমিংয়ের বানানো এই উইকেটই মিরপুরের উইকেটের আসর রূপ। কালো মাটি দিয়েই তৈরি মিরপুরের উইকেট। কিন্তু গামিনি ডি সিলভা থাকার সময় উইকেটে হলুদভাব থাকার কারণ, তখন উইকেটের ওপর কাটা ঘাস দিয়ে রোল করা হতো। ফলে উইকেটে কিছুটা হলুদ ভাব দেখা যেত। টনি হেমিং সেই পথ মাড়াননি।
দ্বিতীয় ম্যাচের উইকেটের চেহারায় হয়তো কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারেন হেমিং। গামিনির মতো কাটা ঘাস ছিটিয়ে উইকেটের রং কিছুটা হলুদ করা হতে পারে। তাই বলে রাতারাতি স্পোর্টিং উইকেট বানিয়ে ফেলা হবে, এমন সম্ভাবনা নেই। হয়তো অল্পকিছু রানের পার্থক্য হতে পারে।
২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পেতে হলে ঘরের মাঠে এই সিরিজটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য। মূলত সেটি মাথায় রেখেই বানানো হচ্ছে উইকেট। বলা যায়, ঘরের মাঠের সুবিধা আদায় করে তিন ম্যাচই জয়ের পরিকল্পনা বিসিবির।
সারা বিশ্বেই লাল ও কালো—এই দুই ধরণের মাটি দিয়ে উইকেট বানানো হয়। লাল মাটির উইকেটগুলো সাধারণত ব্যাটিং সহায়ক হয়। যেখানে পেস বলও ভালো হয়। ব্যাটে বল ঠিকঠাক মতো আসে। তবে কালো মাটির উইকেটে ব্যাটে বল আসতে কিছুটা দেরি হয়। এখানে স্পিনাররা বেশ ভালো টার্ন পান। আর মিরপুরের উইকেটও ঠিক এই কালো মাটি দিয়েই তৈরি। যার সুবিধা প্রথম ওয়ানডেতে নিয়েছেন রিশাদ-মিরাজরা।