যে কারণে চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশের ফিটনেস ট্রেনার
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে এখন চট্টগ্রামে। দলের ক্রিকেটার ফিটনেস নিয়ে কাজ করতেন নাথান কেলি। তার অধীনে নতুন ফিটনেস পরীক্ষা ‘টাইম ট্রায়ালে’ ক্রিকেটাররাও বেশ উপকৃত হয়েছিলেন। কিন্তু দুঃসংবাদ হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাকরি ছাড়ছেন এই অস্ট্রেলিয়ান ফিটনেস ট্রেনার। কেলির দায়িত্ব ছাড়ার বিষয়টি দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট অপারেশনস বিভাগ ও কেলি নিজেই।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফিটনেস ট্রেনার কেলি পরিবারকে বেশি সময় দিতেই চাকরি ছাড়েছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবিকে। গত বছরের এপ্রিলে দুই বছরের জন্য নিয়োগ পান অস্ট্রেলিয়ান এই ফিটনেস ট্রেনার। বিসিবির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস বাকি থাকতেই তিনি দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন।
কেলি দায়িত্বের সময়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতি ‘টাইম ট্রায়াল’ পরীক্ষা চালু করেছিলেন। তিনি নিয়মিত খেলোয়াড়দের ফিটনেস উন্নয়নে কাজ করেছেন। এর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা হতো বিপ টেস্ট ও ইয়ো-ইয়ো টেস্টের মাধ্যমে।
এশিয়া কাপের আগে কেলির অধীনে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ‘টাইম ট্রায়াল’ এর মাধ্যমে ফিটনেস টেস্ট দেন। এরপর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট শুরুর আগেও ক্রিকটারদের এই ফিটনেস টেস্ট নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : ফিটনেস টেস্টে ‘টাইম ট্রায়াল’ নিয়ে যা বললেন কেলি
তবে পরিবারের কারণে দেশের বাইরে দীর্ঘ সময় থাকার চ্যালেঞ্জের মুখে সরে দাঁড়ালেন তিনি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কেলি বাবা হয়েছেন। নবজাতকের পাশে থাকতে তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে আর যোগ দেননি।
এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমটিকে কেলি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় আমার স্ত্রী ও নবজাতক সন্তানের পাশে থাকতে আমি জাতীয় দলের চাকরি ছেড়েছি। যেহেতু ওদের পাশে অন্য কেউ নেই, তাই আমি বাড়িতে থাকাকেই প্রাধান্য দিয়েছি।’
কেলির অনুপস্থিতিতে বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে জাতীয় দলের ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ইফতেখার রহমান। বাংলাদেশে আসার আগে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস দল ও একটি রাগবি দলের ফিটনেস কোচ হিসেবে কাজ করেছেন কেলি।

স্পোর্টস ডেস্ক