২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে যা জানালেন মেসি
ক্লাব ফুটবল বা দেশের হয়ে খেলায় বয়সের বাধাটা এখনও বুঝতে দেননি লিওনেল মেসি। নিয়মিতই গোল ও অ্যাসিস্টের দেখা পাচ্ছেন তিনি। আগামী বছর ফুটবল বিশ্বকাপ, আর মেসিকে ঘিরে সমর্থকদের কৌতূহল যে আরও একবার তাকে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে দেখা যাবে কি না? আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক জানিয়েছেন, শতভাগ ফিট থাকলে ২০২৬ বিশ্বকাপে তাকে দেখা যাবে।
সম্পূর্ণ ফিট থাকলে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে শিরোপা রক্ষায় লড়াইয়ে নামতে চান মেসি। তবে এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। প্রতিদিন নিজের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা মূল্যায়ন করছেন আর্জেন্টিনার এই বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।
গতকাল সোমবার (২৭ অক্টোবর) এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘সত্যি বলতে, বিশ্বকাপে খেলা একটা অসাধারণ ব্যাপার। আমি সেখানে থাকতে চাই। যদি নিজেকে ভালো অনুভব করি এবং জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি, তাহলে খেলতে চাই।’
আরও পড়ুন: নতুন চুক্তিতে মায়ামিতে কতদিন থাকবেন মেসি?
মেসি আরও বলেন, ‘আমি ইন্টার মায়ামির প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতির সময় প্রতিদিন নিজেকে যাচাই করব, দেখব আমি সত্যিই শতভাগ ফিট কি না। এটা বিশ্বকাপ, তাই আমার ভীষণ আগ্রহ। আমরা আগের বিশ্বকাপ জিতেছি, আর আবারও মাঠে নেমে সেটি ধরে রাখতে পারা হবে অসাধারণ ব্যাপার। জাতীয় দলের হয়ে খেলা সবসময়ই স্বপ্নের মতো, বিশেষ করে কোন বড় টুর্নামেন্টে। আশা করি, সৃষ্টিকর্তা আবারও সেই সুযোগ দিবেন।’
মেসি এর আগেও বলেছেন, তিনি বিশ্বকাপে খেলবেন কি না—সেটা নির্ভর করবে তার শারীরিক অবস্থার ওপর। ২০২৫ মৌসুমে ইন্টার মায়ামির সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন মেসি। মেজর লিগ সকার (এমএলএস), লিগস কাপ, কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ এবং ক্লাব বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আগামী বিশ্বকাপে মেসির খেলা নিয়ে যা জানালেন স্কালোনি
২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে ২০২৫ মৌসুমে এমএলএস গোল্ডেন বুট জিতেছেন মেসি। মায়ামিতে যোগ দেওয়ার পরে প্রথমবার গোল্ডেন বুট জিতলেন। তিনি ২০২৫ সালের এমএলএস ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ (এমভিপি) পুরস্কারেরও ফাইনালিস্ট মেসি। এবার জিতলে টানা দুই মৌসুমে এমভিপি জয়ী প্রথম খেলোয়াড় হবেন তিনি।
সম্প্রতি মেসি ইন্টার মায়ামির সঙ্গে ২০২৮ মৌসুম পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছেন। এই প্রসঙ্গে এনবিসিকে মেসি বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, খেলার সিদ্ধান্ত সবসময় নির্ভর করবে আমার দৈনন্দিন অনুভূতি এবং শারীরিক-মানসিক অবস্থার ওপর। সত্যি বলতে, এই বছর আমি খুব ভালো অনুভব করেছি। মায়ামিতে জীবনটা উপভোগ করছি, আমার পরিবারও খুশি, তাই সিদ্ধান্তটা নেওয়া কঠিন ছিল না।’

স্পোর্টস ডেস্ক