হামজা থাকলে দ্বিতীয় গোল পাওয়া কঠিন হতো : নেপাল কোচ
প্রধমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশকে লিড এনে দিয়েছিলেন হামজা চৌধুরী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। হামজা যত সময় মাঠে ছিলেন পুরো মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হলেও উঠেছেন আক্রমণেও।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন হামজা। এরপর ম্যাচের অন্তিম সময়ে গোল হজম করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ মাঠ ছাড়ে ২-২ গোলের ড্র নিয়ে। বাংলাদেশকে জয় বঞ্চিত করে হাসিমুখে সংবাদ সম্মেলনে আসেন নেপালের কোচ হড়ি খাড়কা।
হামজা থাকলে তাদের ড্র করা কঠিন হয়ে যেতো বলেই স্বীকার করেন নিলেন হড়ি খাড়কা। তিনি বলেন, ‘হামজা পুরো ম্যাচ (বাকি সময়) আক্রমণভাগে থাকলে আমাদের জন্য কষ্ট হতো। সে না থাকায় আমাদের সুবিধা হয়েছে।’
দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে বাইসাইকেল কিকে চোখ ধাঁধানো গোল উপহার দেন হামজা। চার মিনিট পর পেনাল্টি থেকে করেন আরও এক গোল। প্রথম গোলে ইংল্যান্ড প্রবাসী মিডফিল্ডারকে কৃতিত্ব দিলেও দ্বিতীয় গোল নিয়ে আপত্তি রয়েছে নেপাল কোচের, ‘প্রথম গোলটি অত্যন্ত অসাধারণ হয়েছে। তবে দ্বিতীয় গোলের পেনাল্টি নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে। এটা আমার দৃষ্টিতে পেনাল্টি হয়নি।’
বাংলাদেশের হোম ম্যাচ। দুই সপ্তাহের বেশি অনুশীলন করেছে তারা। সেখানে নেপালের প্রস্তুতি যৎসামান্য। এরপরও তারা বাংলাদেশকে জিততে দেয়নি। তাই সন্তুষ্ট হড়ি খাড়কা, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। এই ড্র আমাদের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য কাজে দেবে।’

স্পোর্টস ডেস্ক