'ভারতের সঙ্গে সব ম্যাচই ফাইনাল'
খালি চোখে এই ম্যাচের কোনো গুরুত্বই নেই। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ তো কেবল পয়েন্ট টেবিলের ওপর নির্ভর নয়। এখানে জড়িয়ে আছে আভিজাত্য, অহংবোধ ও মর্যাদার লড়াই। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যা পেয়েছে বাড়তি মাত্রা।
জাতীয় স্টেডিয়াম ঢাকায় আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) মাঠে নামছে বাংলাদেশ-ভারত। এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকেই বিদায় নেওয়া দুদলের লড়াইকে হালকাভাবে দেখার কিছু নেই। দর্শকও ম্যাচটি নিয়ে আগ্রহী। আগে-পরের ভাবনা একপাশে রেখে দর্শকের কাছে এটি ফাইনালের মতো। যেখানে জয়ের বিকল্প নেই।
ম্যাচ দেখতে আসা এক ভক্ত এনটিভি অনলাইনকে বলেন, 'হতে পারে আমরা বাদ পড়েছি। সেই আক্ষেপ তো মিটবে না। তবে, আমাদের ছেলেরা ভালো খেলছে। আজ ভারতের সঙ্গে খেলা। এখানে অন্য হিসাব পরে। আগে জিততে হবে। ভারতের সঙ্গে সব ম্যাচই ফাইনাল। জয়টা খুব দরকার।'
এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে নিয়ম রক্ষার এই ম্যাচটি পরিণত হয়েছে মর্যাদার লড়াইয়ে। দুই দলই এটিকে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সম্মান রক্ষার লড়াই হিসেবে দেখছে। এই ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের যেন কমতি নেই। টিকিট ছাড়ার মাত্র ৬ মিনিটের মাথায় সাধারণ গ্যালারির সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
দুই দলের মুখোমুখি পরিসংখ্যান অবশ্য ভারতের পক্ষেই। ১৯৭৮ সাল থেকে মুখোমুখি ২৯ বারের দেখায় ১৩ জয় ভারতের, বিপরীতে ৩ বার জিতেছে বাংলাদেশ। আর বাকি ১৩ টি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
১৯৯১ সালের কলম্বো সাফ গেমসের গ্রুপ পর্বেও ভারতকে ২-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালের সাউথ এশিয়ান গেমসে কাঠমান্ডুতে সেমিফাইনালে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিদায় করে বাংলাদেশ।
এরপর ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। এসব স্মরণীয় সাফল্যের পর গত ২২ বছর ধরে আর ভারতের বিপক্ষে জয়ের দেখা মেলেনি বাংলাদেশের।
এবার জিততে মরিয়া দল। হামজা চৌধুরী বলেছেন, ‘বড় ম্যাচের সব প্রস্তুতি শেষ! আগামীকাল (আজ) আপনাদের সবাইকে দেখা আর আপনাদের দারুণ উচ্ছ্বাস অনুভব করার জন্য আর তর সইছে না! ইনশা আল্লাহ।’
শমিত সোম লিখেছেন, ‘আজ বড় ম্যাচ। আমাদের সমর্থকদের সামনে ঘরের মাঠে খেলতে নামার যে অনুভূতি, এর থেকে ভালো কিছু আর হয় না। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব—দলের জন্য, সমর্থকদের জন্য, আর বাংলাদেশের জন্য।’

ক্রীড়া প্রতিবেদক