আফগানিস্তানে বিশৃঙ্খলার দায়ে ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/09/17/npo-ombudsman-onderzoekt-vpro-documentaire-over-sigrid-kaag.jpg)
আফগানিস্তান থেকে নাগরিক ও সহযোগীদের সরিয়ে আনার কার্যক্রম ‘ভুলভাবে পরিচালিত হয়েছে’ সাংসদরা এমনটা বলার পর পদত্যাগ করেছেন নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগ্রেদ কাগ। খবর বিবিসির।
সিগ্রেদ কাগ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রথম কোনো মন্ত্রী যিনি তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান ছাড়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর কর্মকাণ্ডে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছিল, তার প্রতিক্রিয়ায় সরে দাঁড়ালেন।
ডাচ পার্লামেন্টে আফগানিস্তান নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাস হওয়ার পর কাগ মন্ত্রীত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন।
সাংসদরা বলেন, আফগানিস্তান পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল ধীরগতির, যে কারণে নেদারল্যান্ডস অনেক আফগানকে ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়েছে, যাদেরকে দেশটি থেকে বের করে আনা যেত।
কাগ বলেছেন, তিনি তার নেওয়া পদক্ষেপের পক্ষে থাকলেও সাংসদদের রায় মাথা পেতে নিয়েছেন।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/09/17/capture.jpg 552w)
আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থান নিয়ে সতর্কতার বিপরীতে নেদারল্যান্ডস সরকার খুবই ধীরগতিতে পদক্ষেপ নেয় এবং পরে তালগোল পাকিয়ে ফেলে বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
অগাস্টের শেষ দুই সপ্তাহে নেদারল্যান্ডস আফগানিস্তান থেকে দুই হাজারের মত লোককে সরিয়ে নিতে পারলেও কয়েকশ স্থানীয় কর্মী এবং যারা ডাচ সেনাদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছিল তাদেরকে ফেলে যেতে বাধ্য হয়।
কাগ জানান, তার সরকার ‘ভুল মূল্যায়নের’ ভিত্তিতে কাজ করেছিল।
‘কিন্তু তালেবানের উত্থান সবাইকে চমকে দিয়েছিল, এমনকী তালেবানকেও,’ বলেছেন তিনি।
অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় পদত্যাগ করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ছিল না বলেও মন্তব্য করেন এ নারী।