আর্জেন্টিনার খেলা চলাকালে সেই গ্রান্ট ওয়াহলের মৃত্যু
কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলের আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচ কভার করার সময় বিশিষ্ট মার্কিন সাংবাদিক গ্রান্ট ওয়াহল মারা গেছেন। তার হঠাৎ মৃত্যুতে ক্রীড়াজগতজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স গ্রান্ট ওয়াহলের এজেন্টের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, শুক্রবার খেলার প্রতিবেদন নিয়ে ব্যস্ততার মধ্যেই ‘তীব্র যন্ত্রণায়’ ভুগে মারা যান তিনি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে জানিয়েছেন, স্টেডিয়ামের প্রেস বক্স এলাকায় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর সময় আশেপাশের পরিস্থিতি কেমন ছিল তা জানা যায়নি বলে জানিয়েছে তারা।
ইউএস সকার টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা গ্রান্ট ওয়াহলকে হারিয়েছি, এটি জানার পর যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ফুটবল পরিবারের মন ভেঙে গেছে। গ্রান্ট ফুটবলকে তার জীবনের অংশ করে নিয়েছিলেন। তাকে ও তার দীপ্তিমান লেখাগুলো আর পাব না অনুভব করে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি আমরা।’
ওয়াহলের আবেগ ও ‘মানবাধিকার এগিয়ে নিতে ফুটবলের শক্তির প্রতি তার বিশ্বাসের’ প্রশংসা করেছে ইউএস সকার। তারা ওয়াহলের স্ত্রী সেলিন গাউন্ডার ও তার প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
ইউএস সরকারের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় গাউন্ডার বলেছেন, ‘খবর শুনে তিনি পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে গেছেন।’
ওয়াল একসময় স্পোর্টস ইলাস্ট্রেইটেডে কাজ করতেন, পরে অনলাইন প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম সাবস্ট্যাকে যোগ দেন। শুক্রবার আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের খেলা নিয়ে টুইট করছিলেন তিনি।
তার এজেন্ট টিম স্ক্যানলান রয়টার্সকে জানান, কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটির অতিরিক্ত সময়ের শুরুর দিকে ওয়াহল ‘তীব্র কোনো যন্ত্রণায় ভুগতে শুরু করেন’। প্রেস বক্সেই তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছিল, পরে স্ট্রেচারে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, নভেম্বরের শেষ দিকে ওয়াহল জানিয়েছিলেন, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করে তিনি একটি রেইনবো টিশার্ট পরে কাতারের একটি স্টেডিয়ামে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন, তখন ‘সমলৈঙ্গিক সম্পর্ক’ নিষিদ্ধ থাকা দেশটির নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে কিছুক্ষণের জন্য আটকে রেখেছিল।
তিনি জানিয়েছিলেন, আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম খেলার দিন ঘটনাটি ঘটে। বিশ্বকাপের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ঢুকতে বাধা দেয় ও টিশার্টটি খুলে ফেলতে বলে, কিন্তু তিনি শার্ট না খুলে সেখানে বসে থাকলে পরে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তাকে ভেতরে নিয়ে যান।