আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তন চান এরদোয়ান
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/12/11/erdogan.jpg)
আজারবাইজানের জয়ে উচ্ছ্বসিত তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এবার এরদোয়ান আর্মেনিয়ায় প্রশাসনে পরিবর্তন চান। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।
আজারবাইজানের বিজয় উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। বিজয় উৎসবে সেনা প্যারেডসহ ছিল তুরস্কের ড্রোনও, যা আর্মেনিয়াকে হারাতে সাহায্য করেছে। সেখানেই এরদোয়ান আর্মেনিয়ায় সরকার পরিবর্তনের ডাক দিলেন। এরদোয়ান জানিয়েছেন, নতুন সরকার কিছু শর্ত মানলে আজারবাইজানের সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা হতে পারে এবং তিনিও তুরস্কের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সীমান্ত খুলে দেবেন।
আর্মেনিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে আজারবাইজানকে সামরিক ও কূটনৈতিক সাহায্য ও সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, আজারবাইজানের সেনাকে শক্তিশালী করতে সিরিয়া থেকে বাহিনী সরিয়ে সেখানে পাঠিয়েছেন এরদোয়ান। ফলে আজারবাইজানের জয় সহজ হয়েছে। বিতর্কিত নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলে সংঘাতে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মস্কোর মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে চুক্তি হয়েছে। এর ফলে আর্মেনিয়াকে নাগর্নো কারাবাখের আর্মেনীয় জনবহুল এলাকার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হয়েছে। এমনকি ১৯৯০ পরবর্তী সময়ে আর্মেনীয় জনগণ যে ছয়টি এলাকায় আধিপত্য স্থাপন করেছিল, সেগুলোও আজারবাইজানকে দিয়ে দিতে হয়েছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/12/11/untitled-2.jpg)
এমন পরিস্থিতিতে এরদোয়ান বলেছেন, ‘আমরা আশা করি আর্মেনিয়ার মানুষ তাদের সেইসব নেতৃত্বের বোঝা থেকে মুক্তি পাবে, যারা অতীতে তাদের মিথ্যা বলে বুঝিয়েছে এবং দারিদ্র্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’
এরদোয়ান জানিয়েছেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তোলার জন্য তিনি রাশিয়া, আজারবাইজান, ইরান, জর্জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন। সেখানে সম্ভব হলে আর্মেনিয়াও থাকবে।
এরদোয়ানের দাবি, আর্মেনিয়ার সেনারা যুদ্ধাপরাধ করেছে। তারা শহর, গ্রাম, মসজিদ ধ্বংস করেছে। তাই তাদের বিচার হওয়া উচিত। আর্মেনিয়ার সেনা অবশ্য দাবি করে, এসব ধ্বংস হয়েছে আজারবাইজানের সেনার আক্রমণে।
এরদোয়ান বলেন, ‘আমরা এখানে সমবেত হয়েছি, একটা অসাধারণ জয়ের উৎসব করতে। আজারবাইজান নিজের ভূমি ফিরে পেয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে সংঘাত শেষ। যে সংঘাত রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে ছিল, সেটি এবার অন্য ফ্রন্টে হবে।’