ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরকে লক্ষ্যবস্তু করে রাশিয়া ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে। এতে পুরো ইউক্রেনজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সিয়াল উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক জানিয়েছেন, জনসাধারণ ও বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে ১২০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো জানিয়েছেন শহরটিতে হামলায় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীসহ কমপক্ষে তিনজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খারকিভ, ওডেসা, লভিভ ও ঝিটোমির শহর থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ ওডেসার আঞ্চলিক নেতা ম্যাক্সিম মার্চেনকো জানান, ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া আকাশ ও সমুদ্র থেকে দেশজুড়ে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাশাপাশি কামিকাজে ড্রোন হামলাও চালিয়েছে।
ইউক্রেন জুড়ে বৃহস্পতিবার বিমান হামলার সতর্ক সংকেত শুনতে পাওয়া যায় এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়।
কিয়েভের হামলায় সিটি সেনাবাহিনী প্রশাসনের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, বিমান বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ১৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় মিকোলেইভ শহরের গভর্নর ভিটালি কিম জানান, সেখানে রাশিয়ার পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ওডেসা শহরে ২১টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে। ভূপাতিত করার সময় সেগুলো আবাসিক ভবনের ওপর পড়লেও কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভের মেয়র আন্দ্রি সাডোভি জানিয়েছেন, শহরে বেশ কিছু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে রাশিয়া কয়েক ডজন হামলা চালিয়েছে, আর এ কারণে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবারাহ বন্ধ হয়ে যায়। লভিভের মেয়র জানান শহরটির ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। অন্যদিকে, রাজধানী কিয়েভে আরও নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
হামলায় বিষয়ে ক্রিভি রিহ শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান জানান, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালিত হয় কৃষ্ণ সাগরে থাকা জাহাজ থেকে ও আকাশ পথে বিমানের মাধ্যমে। এ সময়ে সতর্কতা হিসেবে শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, মস্কো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেসরকারি অবকাঠামো লক্ষবস্তু করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ, তা একের পর এক অস্বীকার করে আসছে। তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি স্বীকার করেন যে, হামলায় ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।