ইউরোপের হাসপাতালগুলোকে খাদের কিনারে নিয়ে যাবে ওমিক্রন : ডব্লিউএইচও
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ইউরোপের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতার চূড়ান্ত পরীক্ষা নেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়।
ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ অঞ্চলের পরিচালিক ডা. হান্স ক্লুজ বলেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আরেকটি ঝড় আসছে। সরকারগুলোর উচিত ব্যাপকমাত্রায় সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে প্রস্তুত থাকা।’
ডা হান্স বলেন, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ইউরোপের বেশির ভাগ দেশে ওমিক্রন প্রধান ভ্যারিয়্যান্ট হিসেবে দেখা দেবে।’
ইউ জোটভুক্ত এবং আরও কিছু দেশ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র ইউরোপ অঞ্চল গঠিত। এর মধ্যে রাশিয়া, তুরস্কসহ ৩৮ থেকে ৫৩টি দেশে এরই মধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে এবং কয়েকটিতে এটি প্রধান ভ্যারিয়্যান্ট হিসেবে দেখা দিয়েছে।
ইউরোপের দেশগুলো যখন বিভিন্ন ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করে চলেছে, ঠিক তখনই এমন সতর্কবার্তা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আসন্ন বড়দিনের পর থেকে নতুন বিধিনিষেধ চালুর ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি।
অন্যদিকে, ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পানশালা ও নৈশক্লাবগুলো বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগাল।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বড়দিনের আগে ইংল্যান্ডে কোনো কড়াকড়ি আরোপ করছেন না বলে জানিয়েছেন। কিন্তু, ওয়েলস এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড এরই মধ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান ও গণজমায়েতে কড়াকড়ির নির্দেশনা দিয়েছে।
সুইডেনে পানশালা, ক্যাফে ও রেস্তোরাঁগুলোতে আজ বুধবার থেকে শুধু বসা অতিথিদের আপ্যায়নের সুযোগ থাকবে এবং সব অফিস-আদালতের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেছেন, ২৮ ডিসেম্বর থেকে নৈশক্লাবগুলো বন্ধ এবং অনুমোদিত সামাজিক জমায়েত ১০ জনে নামিয়ে আনা হতে পারে। ওই তারিখের পর থেকে ফুটবল ম্যাচগুলোও দর্শকশূন্য আয়োজন করা হতে পারে।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডসে গত সোমবার থেকে কড়া লকডাউন চালু হয়েছে।
বিবিসির ইউরোপ করেসপন্ডেন্ট নিক বিয়েক বলছেন, ইউরোপের অন্যান্য দেশের নেতারা চাইছেন বড়দিনের পর চলাচলে কড়াকড়ির নির্দেশনা জারি করতে।
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ইউরোপে আট কোটি ৯০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এ সংক্রান্ত জটিলতায় ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।