ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৪২, ঢাকার শোক
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/15/ap.jpg)
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে শক্তিশালী ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আট শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মানুষজন ছোটাছুটি করে নিরাপদ স্থানে যায়।
এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো এল পি মারসুদিকে লিখিত এক বার্তায় মোমেন ভূমিকম্পে মর্মান্তিক প্রাণনাশের ঘটনায় ইন্দোনেশিয়ান সরকার, ইন্দোনেশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ এবং বিশেষত শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোরের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুলাওয়েসি দ্বীপের ম্যাজেনে শহরের ছয় কিলোমিটার উত্তরপূর্ব এলাকায় ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এসব তথ্য জানিয়েছে। এই ভূমিকম্পে অন্তত ৬০টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে।
গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ম্যাজেনে শহরে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৬০০ জন। আর সুলাওয়েসির পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় আরো আটজনের মৃত্যু হয় এবং দুই ডজন মানুষ আহত হয়েছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/01/15/indonesia-1.jpg)
মামুজুর দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার প্রধান আলি রহমান এএফপিকে বলেছেন, ‘নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে, তবে আমরা আশা করি তা হবে না। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন।’
ভূমিকম্পের ফলে অন্তত ১৫ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে ইন্দোনেশিয়ার একই এলাকায় ৫ দশমিক ৯ মাত্রার এক ভূমিকম্পে বেশকিছু বাড়ি ঘর ধসে যায়।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার কাছে পাঠানো এক বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন প্রার্থনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, ইন্দোনেশিয়ার সহিষ্ণু ও উদ্যোগী মানুষেরা এই বিপর্যয় মোকাবেলা করে ওঠে দাঁড়াবে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে তাদের বাড়িঘর ও অবকাঠামো সফলভাবে পুননির্মাণ করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন ও প্রশমন সংক্রান্ত বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, উভয় দেশই দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে, তাই বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা ও উদ্ধারকর্মীরা যৌথভাবে পরিচালিত ভূমিকম্পের মহড়া ও সিমুলেশন অনুশীলনে অংশ নিতে পারে।