ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম মজুত করেছে
ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম মজুত করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি। ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য এরই মধ্যে ইরানের নিন্দা করেছে।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইরান ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম অজ্ঞাত জায়গায় মজুত করছে। একটি পাহাড়ের নিচে তারা এই প্রকল্প শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রসি।
ইরানে ইউরেনিয়াম মজুতের পরিমাণ বোঝার জন্য গত সপ্তাহে আইএইএ একটি সিদ্ধান্ত নেয়। তারই জেরে নতুন এই তথ্য তাদের হাতে এসেছে বলে জানানো হয়েছে। ২০২১ সাল থেকে ইরান এই প্রকল্প শুরু করেছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে।
আইএইএ প্রধান জানিয়েছেন, তাদের রিপোর্ট জাতিসংঘের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তার পরেই নেওয়া হবে। বস্তুত, পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম মজুত করতে হয়। ইরান এখনও তার চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু গত কয়েকবছরে তাদের ইউরেনিয়াম মজুতের ভাগ ২০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশে পৌঁছেছে, যা আশঙ্কাজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইরানের সঙ্গে আমেরিকাসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর পরমাণু চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। ট্রাম্প ক্ষমতা হারানোর পর নতুন করে পরমাণু চুক্তির আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু সেই আলোচনা থেকে কোনো সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। সে সময়েই ইরান জানিয়েছিল, তারা ইউরেনিয়ামের মজুত বাড়াবে।
এ বিষয়ে ইরানের পার্লামেন্টে একটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তারপর থেকেই তাদের ইউরেনিয়াম মজুত বাড়তে শুরু করে বলে জানা গেছে।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি ইতোমধ্যেই ইরানের নিন্দা করেছে। দ্রুত তাদের ইউরেনিয়াম মজুত কমানোর দাবি জানানো হয়েছে। তবে, ইরান এখনো পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।