ইরানের ইস্পাহান কেন হামলার টার্গেটে?
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের দূতাবাসে ইসরায়েলের বিমান হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছিল ইরান। গত সপ্তাহে ইসরায়েলে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় দেশটি। এরপর ইরানের ইস্পাহানে ঘটল হামলার ঘটনা। কিন্তু ইরানের এত শহর থাকতে ইস্পাহানে হামলা কেন? এ বিষয়ে আলজাজিরা বলছে, শহরটিকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ জানায়, ইরানের ইস্পাহান প্রদেশে জোড়াল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েকটি শহরের বিমান ওঠা-নামার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া সিরিয়া ও ইরাক থেকেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় ইস্পাহান প্রদেশ একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোকে বলেছেন, ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে, বিদেশ থেকে ইরানে কোনো ‘হামলা’ হয়নি বলে খবর দিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম।
ফরাসি গণমাধ্যম ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলের চালানো এই ‘হামলা’ সম্পর্কে জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ইরানের বার্তা সংস্থা ফারসের খবরে বলা হয়, দেশটির ইস্পাহান প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমের শেকারি সেনা বিমানঘাঁটির কাছে ‘তিনটি বিস্ফোরণের শব্দ’ শোনা গেছে। ইরানের মহাকাশ সংস্থার মুখপাত্র হোসেইন দালিরিয়ান বলেছেন, বেশ কয়েকটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। ইরানে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।
ইরানের একটি প্রধান সামরিক বিমান ঘাঁটি ছাড়াও দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রস্থল নাতাঞ্জ শহরসহ বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে এ প্রদেশটিতে। নিকটবর্তী শহর নাতাঞ্জ ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনার কেন্দ্র।
যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্যবস্তু পারমাণবিক স্থাপনা ছিল না। একই তথ্য তুলে ধরে আল-জাজিরা বলছে, হামলার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।এদিকে, ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিম বলেছে, ইস্পাহান প্রদেশে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ নিরাপদ আছে।