ইসরায়েলের সঙ্গে এবার আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ল বাহরাইন
চতুর্থ আরব দেশ হিসেবে বাহরাইন আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় বাহরাইনের রাজধানী মানামায় গতকাল রোববার এই চুক্তি সই হয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কয়েক দশক ধরে বেশিরভাগ আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলকে বয়কট করে আসছে। ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো দেশই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানাচ্ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও জর্ডানের পরে বাহরাইন এখন চতুর্থ আরব দেশ, যারা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর তাদের স্বীকৃতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনিরা এই কূটনৈতিক পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলছে, এটা পিঠে ছুরি মারার শামিল।
গতকাল সন্ধ্যায় মানামায় একটি অনুষ্ঠানে বাহরাইনি ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে একটি যৌথ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই নথিতে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষ নিয়ে কিছুর উল্লেখ ছিল না। এখন দুই দেশেই দূতাবাস খোলার কথা রয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিন রশিদ আল-জায়ানি এক বক্তব্যে বলেন, তিনি দুই দেশের মধ্যে ‘প্রতিটি ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা’ প্রত্যাশা করছেন। তিনি ফিলিস্তিনি সংঘাতের অবসানে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানসহ এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠারও আহ্বান জানান।
তবে মানামায় আসার জন্য সৌদি আরব অতিক্রম করার কারণে তাদের সৌদি আরবের বিশেষ অনুমতি নিতে হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ব্যাপারে এ পর্যন্ত যত আহ্বান এসেছে, তার সবই প্রত্যাখ্যান করে আসছেন সৌদি নেতারা।
ইসরায়েলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভ নুচিনও উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলের প্রথম প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও তাঁর যাওয়ার কথা রয়েছে।
ফিলিস্তিনি নেতারা এই ঘোষণায় রীতিমতো অবাক হয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে। তাঁরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ইসরায়েলের ওই চুক্তি এবং পরে বাহরাইনের সঙ্গে ইসরায়েলের চুক্তির নিন্দা জানান।