এবার ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেল সাময়িক বন্ধ
নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছে গুগল। সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউব জানায়, ভিডিও প্ল্যাটফর্মটির নীতিমালা লঙ্ঘন করা কনটেন্ট আপলোড করায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘ওয়ান-স্ট্রাইক’ পায় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট। এর ফলে অন্তত সাত দিন ট্রাম্পের ইউটিউব চ্যানেলে নতুন কনটেন্ট ওঠানো যাবে না। এ ছাড়া চ্যানেলের ‘কমেন্ট সেকশন’ বা মন্তব্যের ঘরও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউটিউব।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউটিউব অ্যাকাউন্টে প্রায় ২৮ লাখ (২ দশমিক ৭৭) সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ট্রাম্পের চ্যানেলে সাধারণত দিনে একাধিক ভিডিও প্রকাশ করা হয়। কোনো ইউটিউব চ্যানেল তিনবার ‘স্ট্রাইক’ পেলে সেটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িক স্থগিত করার বিষয়ে ইউটিউব বলেছে, ‘ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পের চ্যানেলে আপলোড করা নতুন কনটেন্ট আমাদের নীতিমালা লঙ্ঘন করায় আমরা পর্যালোচনা করা শেষে এবং সহিংসতা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ের উদ্বেগের আলোকে কনটেন্টটি আমরা সরিয়ে দিয়েছি।’
ইউটিউব আরো বলেছে, ‘সহিংসতা নিয়ে চলমান উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চ্যানেলের কমেন্ট বন্ধ করে দিচ্ছি। নিরাপত্তা লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোনো কিছু দেখা গেলে আমরা সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের কমেন্ট সেকশন বন্ধ করে দিই।’
এ ছাড়া ট্রাম্প সমর্থকদের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যাননের ‘ওয়ার রুম’ পডকাস্টের চ্যানেল বন্ধ করে দেয় ইউটিউব।
এর আগে নীতিমালা বহির্ভূত পোস্ট দেওয়ার কারণে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয় মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার কর্তৃপক্ষ। গুগল, ফেসবুকসহ অন্যান্য সব বড় প্রতিষ্ঠানই ক্যাপিটলে সহিংসতার ঘটনায় ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকদের ব্যাপারে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ ট্রাম্পের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা বাতিল ঘোষণা করে ফেসবুক। এ ছাড়া গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইচ এবং ক্ষুদেবার্তা আদান প্রদানের অ্যাপ স্ন্যাপচ্যাটও ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট বাতিল করেছে।
গত বুধবার কংগ্রেসে জো বাইডেনের বিজয় সার্টিফাই করার অধিবেশন চলাকালে শত শত ট্রাম্প সমর্থক পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয় এবং ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে টুইটারে ভিডিও বক্তৃতায় ওই হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এতে অংশগ্রহণকারী সমর্থকদের প্রশংসাও করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।