কাবুলে আমাদের কূটনৈতিক উপস্থিতি থাকবে : এরদোয়ান
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অবস্থিত তুর্কি দূতাবাস এরই মধ্যে নিজস্ব ভবনে ফিরেছে। ফলে আঙ্কারা এখন থেকে আফগান ভূখণ্ডে নিজেদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। গতকাল রোববার এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবান যোদ্ধারা আফগান ভূমির ক্ষমতা দখল করায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো দেশগুলো আফগানিস্তানে অবস্থিত নিজেদের কূটনৈতিক মিশন গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে। যার ধারাবাহিকতায় তুরস্কও ‘কারিগরি দল’ বর্ণনা করে কিছু মানুষকে রেখে তাদের বেসামরিক নাগরিক ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের আফগান ভূখণ্ড থেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।
রোববার মন্টিনিগ্রো থেকে ফেরার পথে একটি ফ্লাইটে তুর্কি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এরদোগান। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ যাবত কাবুল বিমানবন্দর থেকে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনার পর তুরস্কের দূতাবাসটি রাজধানীর শহরে তার নিজস্ব ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুর্কি কর্তৃপক্ষ এতদিন বিমানবন্দরে থেকে কাজ পরিচালনা করলেও এখন ফের তারা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত নিজেদের দূতাবাস ভবনে ফিরে গেছেন। কর্মকর্তারা এখন সেখান থেকেই অফিস করবেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেছেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা বর্তমানে এভাবেই নিজেদের কূটনৈতিক উপস্থিতি বজায় রাখা। দেশটির নিরাপত্তা সংক্রান্ত পরিস্থিতি এখন ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা নিজেদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন এনেছি।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ‘কাবুলের ক্ষমতা নিজেদের হাতে নেওয়ার পর তালেবান এখন পর্যন্ত যেসব প্রতিশ্রুতি বা বিবৃতি দিয়েছে, আমরা সেসব বিষয় নিয়ে আশাবাদী এবং একই সঙ্গে সতর্ক। আমরা দেখতে চাই- বাস্তব জীবনে তাদের এসব প্রতিশ্রুতির ঠিক কতটা বাস্তবায়িত হয়।’
বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ সব বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের পর রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনায় তুরস্কের সাহায্য চেয়েছে তালেবান। এ প্রসঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, এখন যদি সেখানে আর একটিও হামলা হয় তবে আঙ্কারাও এর কঠিন জবাব দেবে।