তুরস্কের বিমান কোম্পানির অফিসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৫
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে একটি বিমান পরিবহন কোম্পানির সদরদপ্তরে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ২২ জন। খবর বিবিসির।
এ বিষয়ে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন দুজন হামলাকারী, যাদের একজন পুরুষ ও একজন নারী। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই দুই হামলাকারী নিহত হন বলে জানান তিনি। আলি ইয়েরলিকায়া আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কুর্দি বিদ্রোহী গ্রুপ পিকেকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তবে হামলার দায়দায়িত্ব এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
এদিকে গতকাল বুধবার (২৩ অক্টোবর) সংঘটিত এই ঘটনার পরপরই তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইরাকের উত্তরে এবং সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে কুর্দি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুজন বন্দুকধারী রাজধানী থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে টার্কিশ অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ নামের ওই বিমান সংস্থাটির সদরদপ্তরের প্রবেশ পথে গুলিবর্ষণ করছে। তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট সেভদেত ইলমাজ জানিয়েছেন, নিহত পাঁচজনের মধ্যে চারজন টার্কিশ অ্যারোস্পেসের কর্মকর্তা এবং অন্যজন হলেন একজন ট্যাক্সি চালক।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, হামলাকারীরা হামলায় ব্যবহার করার জন্য ওই গাড়িটি ছিনতাইয়ের আগে সেটির চালককে হত্যা করে। পরে ওই বিমান সংস্থাটির শিফট পরিবর্তনের সময় বিস্ফোরণের মাধ্যমে হামলা শুরু করে হামলাকারীরা।
হামলায় আহত ২২ জনের মধ্যে সাতজন স্পোশাল ফোর্সের সদস্য রয়েছে বলে তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পিকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে নিষিদ্ধ। ১৯৮০ সাল থেকে এই সংগঠনটি সংখ্যালঘু কুর্দিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তুরস্কের অখন্ডতার বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে।