কাবুল থেকে এক লাখ পাঁচ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে : যুক্তরাষ্ট্র
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/08/27/ixv56otey5lr3mmsmqyo3ccxvq.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে শুক্রবার জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণের পরও কাবুল থেকে ১২ হাজার ৫০০ মানুষকে সরানো হয়েছে। গত ১৪ আগস্টের পর থেকে কাবুল ছেড়েছেন প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার মানুষ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গত জুলাই থেকে মোট এক লাখ ১০ হাজার ৬০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সশস্ত্রগোষ্ঠী তালেবানের যোদ্ধারা কাবুলে ঢোকার একদিন আগে অর্থাৎ গত ১৪ আগস্ট এই উদ্ধার কার্যক্রম জোরদার করা হয়।
কাবুল বিমানবন্দরে জোড়া হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সেখান থেকে বিদেশি নাগরিকসহ আফগানদের উদ্ধার করে আনার কাজ আবার শুরু হয়েছে। বিমানবন্দরের বাইরে চালানো এই আত্মঘাতী হামলায় শতাধিক নিহত এবং আরও ১৫০ জন আহত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
হামলার পর শুক্রবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্ধার অভিযান ফের শুরু হয়েছে। এজন্য তাদের হাতে খুব বেশি সময়ও নেই। তালেবানের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা অনুসারে ৩১ আগস্টের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিতে হবে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/08/27/capture_2.jpg 519w)
হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে তাদের নাগরিকদের বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামলা হয়।
বোমা বিস্ফোরণের পরপর কাবুলের মার্কিন দূতাবাস আমেরিকানদের ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বলেছে। কাবুলে ফরাসি দূত ডেভিড মার্টিন বিমানবন্দর এলাকায় আরও হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বলে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।