কাবুল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের লোকজন সরানো শেষের পথে
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আকাশে আজ সোমবার রকেট উড়তে দেখা গেছে। আর, এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে লোকজন সরিয়ে নেওয়া সম্পন্নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গি হামলার তুমুল আশঙ্কার মধ্যেই সব বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ করে আনছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামীকাল মঙ্গলবারের (৩১ আগস্ট) মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। মার্কিন বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের মধ্য দিয়ে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০ বছরের সামরিক অভিযান শেষ হবে। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে হামলার পর এ অভিযান শুরু হয়েছিল। বহুজাতিক বাহিনীর অভিযানের মুখে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে তৎকালীন তালেবান সরকারের পতন হয়েছিল। এরপর কেটে গেছে ২০ বছর।
সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনীর প্রত্যাহার শুরুর পর ১৫ দিন আগে পুনরায় আফগানিস্তান দখলে নিয়েছে তালেবান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সেনাসহ আফগান মিত্রদের কাবুল থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার কাবুলে হামিদ কারিজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে আত্মঘাতী হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ প্রায় ২০০ লোক প্রাণ হারিয়েছে। এর পালটা জবাবে যুক্তরাষ্ট্রও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে বৃহস্পতিবারের হামলার মূল পরিকল্পনাকারীরা নিহত হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন দাবি করেছে।
কাবুলে আরও হামলা হতে পারে—মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন সতর্কতার মধ্যে গতকাল ওই ড্রোন হামলা চালানো হয়।
এদিকে, বার্তা সংস্থা এএফপি’র একজন সাংবাদিক কাবুলের আকাশে রকেট উড়তে দেখেছেন। এমন সময়ে এসব রকেট উড়ছে, যার এক দিন আগে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে—তারা সম্ভাব্য একটি হামলা ঠেকিয়ে দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ড্রোন হামলায় আফগানিস্তানের কাবুলে একটি আবাসিক এলাকার একটি পরিবারের ছয় শিশুসহ নয় জন নিহত হয়েছে।
এদিকে, রকেট ওড়ার ঘটনায় হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের আশপাশে বসবাসরত লোকজন বলেছেন, সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যকর হয়েছে।