কেবল অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারে আফগানিস্তানে শান্তি আসবে : ইরান
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের বিকল্প নেই বলে মনে করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান। আফগান ইস্যুতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে নিয়ে তেহরানে অনুষ্ঠিত একটি সাম্প্রতিক সম্মেলন শেষে এক টুইটবার্তায় এমন মন্তব্য করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দুই মাস পর তেহরানে একটি বৈঠক সম্পন্ন হওয়ার পর এ কথা জানান আমিরাবদুল্লাহিয়ান।
টুইটবার্তায় আমিরাবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরান আফগানিস্তানের প্রতিবেশীদের ‘অত্যন্ত গঠনমূলক’ বৈঠকের আয়োজন করতে পেরে সম্মানিত। এই অঞ্চল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রতিবেশী দেশগুলো আফগানদের সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
আমিরাবদুল্লাহিয়ান তার টুইটবার্তায় আরও বলেন, ‘খুব গঠনমূলক #আফগাননেইবারাস২০২১-এর আয়োজন করতে পেরে সম্মানিত। সম্মেলনের বার্তা স্পষ্ট : আফগানিস্তানের শান্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার এবং দেশটির জনগণনের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর ওপর নির্ভর করছে। আফগানিস্তান এবং আমাদের অঞ্চলের ভবিষ্যত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
আল জাজিরা জানিয়েছে, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার সম্মেলনে বলেছেন, “আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পরাজয় ঘটলেও এর অর্থ এই নয় যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমগ্র অঞ্চল জুড়ে তার ‘‘ধ্বংসাত্মক’ নীতি পরিত্যাগ করছে।”
আইএসআইএসকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোপন বাহিনী’ উল্লেখ করে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে দিতে যুক্তরাষ্ট্র গৃহযুদ্ধ উসকে দিচ্ছে।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, আফগান জনগণের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য সব দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা তেহরানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সশরীরে অংশ নিলেও রাশিয়া এবং চীনের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।