গ্রিসে দাবানল নিয়ন্ত্রণে গিয়ে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, বেঁচে গেছেন পাইলট
গ্রিসের জাকিনতোস দ্বীপে জরুরি অবতরণ করার সময় একটি অগ্নিনির্বাপণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে, তবে রক্ষা পেয়েছেন উড়োজাহাজটির পাইলট।
রোববার দ্বীপটিতে ছোট একটি দাবানলের দিকে উড়োজাহাজটি যাওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে বলে এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি এবং কোনো গুরুতর আঘাত ছাড়াই পাইলট রক্ষা পেয়েছেন বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ছয় দিন ধরে দাবানলের সঙ্গে লড়াই করছে গ্রিস। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দাবানলটি জ্বলছে রাজধানী এথেন্সের কাছে ইভিয়া দ্বীপে। সেখান থেকে হাজার হাজার লোককে ফেরিযোগে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত তিন দশকের মধ্যে সর্বাধিক তাপপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রিসে ছড়িয়ে পড়া দাবানল ভয়াবহ রূপ নেয়। গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপে গতকাল রোববার দাবানলের ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারণে সেখানকার আকাশ কমলা রং ধারণ করে।
গত কয়েক দিনের দাবানল প্রাচীন বনাঞ্চল পুড়িয়ে ছাই করে দিয়ে আশপাশের গ্রামগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট শুরু হওয়া ওই দাবানল গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ইভিয়ার বনভূমি, পর্বত ও গিরিখাতগুলোকে ছেয়ে ফেলে। গ্রীষ্মকালের জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত এলাকাটির উপকূলে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। আগুনে পুড়ে যায় অসংখ্য বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় হাজার হাজার বাসিন্দা ও পর্যটক সেখান থেকে সরে আসতে বাধ্য হন।
কয়েকদিন ধরে গ্রিসের তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সে দেশজুড়ে খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে।
গ্রিক ও ইউরোপীয় বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তারা এই গ্রীষ্মে দক্ষিণ ইউরোপের ইতালি থেকে বলকান এবং গ্রিস থেকে তুরস্ক পর্যন্ত ব্যাপক দাবানলের জন্য জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন।