চীন করোনার হিসাব রাখতে হিমশিম খাচ্ছে : ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, চীন হয়তো কোভিড-১৯ সংক্রমণ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। বুধবার তিনি চীনে করোনাবিষয়ক তথ্যের ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর রয়টার্সের।
২০২০ সাল থেকে ‘শূন্য করোনা নীতির’ আওতায় চীনে করোনার কঠোর বিধিনিষেধ চলছিল। সম্প্রতি দেশটির বেশ কিছু শহরের বাসিন্দারা ওই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমে আসে। এরপর চলতি মাসের শুরুর দিকে বেশির ভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেয় দেশটির সরকার। তারপর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সরকারি পরিসংখ্যানগুলো বিশ্বস্ততা হারাচ্ছে। সম্প্রতি কঠোর ‘জিরো-কোভিড’ নীতি সহজ করার পর থেকে দেশটিতে কম পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর পরিচালক (জরুরি) মাইক রায়ান বলেছেন, ‘চীনের তথ্যে আইসিইউতে তুলনামূলক কম সংখ্যক রোগী পাওয়া গেছে। কিন্তু কাল্পনিকভাবে আইসিইউগুলোতে রোগী ভর্তি হতে দেখা গেছে। আমি বলতে চাই না যে, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে কী ঘটেছে তা আমাদের বলছে না। আমি মনে করি, তারা একটি বক্ররেখার পেছনে রয়েছে।’
বুধবার বেইজিংয়ের একটি শ্মশানের বাইরে কয়েক ডজন মরদেহবাহী যানবাহন সারিবদ্ধ ছিল। এমনকি, চীন তার ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কোনও নতুন মৃত্যুর খবর দেয়নি। এটি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ডাব্লুএইচও বলেছে, তারা হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো খুঁজতে দেশটি তথ্য সংগ্রহের উপায় উন্নত করতে চীনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
রায়ান উল্লেখ করেছেন, গত সপ্তাহগুলোতে দেশে টিকা দেওয়ার হার বেড়েছে। ওমিক্রনের প্রভাবকে আটকানোর জন্য আগামী সপ্তাহগুলোতে পর্যাপ্ত টিকা দেওয়া যায় কি না, তা দেখা বাকি রয়েছে।