চুরির দায়ে ৮ জনের আঙুল কেটে দেবে ইরান
চুরির দায়ে আট জনের আঙুল কেটে নেওয়ার রায় দিয়েছেন ইরানের একটি আদালত। এরই মধ্যে শাস্তি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। খবর আরব নিউজের।
ইরানের এ ধরনের শাস্তির বিরুদ্ধে সরব মানবাধিকারকর্মীরা। দেশটির একটি এনজিও বলছে, এ ধরনের শাস্তি ‘অমানবিক’। খবর আরব নিউজের।
ইরানের আইনে আঙুল কেটে নেওয়ার শাস্তি দেওয়া অবশ্য নতুন নয়। যদিও ১৯৭৯ সালের পরে এ আইন কিছুটা সংশোধন করা হয়। তারপর থেকে আঙুল কেটে নেওয়ার শাস্তি দেওয়া প্রায় বন্ধই ছিল। তবে একেবারে বন্ধ হয়নি।
ইরানের আইন অনুযায়ী, ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে নেওয়া হবে তাদের। ইরানের মানবাধিকার সংস্থা আবুদ্দরহমান বরোমান্দ সেন্টারের তরফে বলা হয়েছে, এমন নিষ্ঠুর সাজা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টির তরফে বিশ্বের সব দেশের কাছে আবেদন করা হয়েছে, কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ করে এ শাস্তি বন্ধ করা দরকার।
সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্যের দায়িত্বে থাকা ডায়ানা ইলথাবি বলেছেন, ইরানের ফৌজদারি আইনে আঙুল কেটে নেওয়ার মতো অত্যাচারকে বৈধতা দেওয়া হয়। কিন্তু, আন্তর্জাতিক আইনে এটিকে অপরাধ বলে গণ্য করা হয়। এভাবে শাস্তি দেওয়াকে ন্যায়বিচার বলে মেনে নেওয়া যায় না। ইরান সরকারের উচিত অবিলম্বে আঙুল কেটে নেওয়ার নির্দেশ প্রত্যাহার করা এবং আবার বিচার করে অপরাধীদের অন্য কোনো শাস্তি দেওয়া।