জিনজিয়াং ও তিব্বত সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো উন্নত করছে চীন
অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক নিরাপত্তা হুমকির কথা বলে তিব্বতের পশ্চিম সীমান্ত ও জিনজিয়াংয়ে সামরিক অবকাঠামো উন্নত করেছে। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।
দ্য ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নতুন বিমানবন্দর ও হেলিপোর্ট নির্মাণ বা আপগ্রেড করছে। এগুলোর বেশির ভাগই দুই ধরনের সুবিধা দেবে। রেল ও সড়ক যোগাযোগের সঙ্গে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির জন্য উড়োজাহাজ চলাচলের সুবিধা যুক্ত করা হচ্ছে।
তিব্বত প্রেস জানিয়েছে, সবচেয়ে বড় হুমকি বিষয়টি ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত সমস্যা নিয়ে। চীন তিব্বতে চারটি নতুন বিমানবন্দর তৈরি করছে। এর মধ্যে লুন্টসে বিমানবন্দর, নাগারি-বুরাং বিমানবন্দর এবং শিগাতসে টিংরি বিমানবন্দর ভারত সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে অবস্থিত।
ভারত সীমান্তে এর আগে কোনো বিমানবন্দরই ছিল না। এ বিমানবন্দরগুলো ভারতে চীনের বিমান শক্তি প্রদর্শনের জন্য বিশেষ সুযোগ করে দেবে।
গত পাঁচ বছরে জিনজিয়াংয়ে ১৫টি বিমানবন্দর উন্নত করেছে চীন। যেগুলোর সাতটি সামরিক সুবিধা এবং বাকিগুলো উভয় ধরনের সুবিধা দেবে।
গবেষণাপত্র ‘চায়নাপাওয়ার’ অনুসারে এসব বিমানবন্দরের একটি হোতান বিমাবন্দর। উভয় ধরনের সুবিধা দেওয়া এ বিমানবন্দরটি লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল থেকে ২৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
প্রধান বিমানবন্দর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে ‘সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল’ কমপ্লেক্স উন্নত করা হয়েছে। বিমানবন্দর ও আশেপাশের এলাকায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
সরকারি হিসেবে, ওই দুই অঞ্চলে সড়ক ও রেল যোগাযোগ উন্নত করতে অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তিব্বত মহাসড়ক ব্যবস্থা ৫১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। ২০১৫ সালের সাত হাজার ৮৪০ কিলোমিটার থেকে পাঁচ বছরে ১১ হাজার ৮২০ কিলোমিটার সড়ক হয়েছে।
জিনজিয়াংয়ে ২০১৫ সালে সড়ক ছিল ১৭ হাজার ৮৩০ কিলোমিটার। ২০২০ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ হাজার ৯২০ হাজারে। এটি কেবল তিব্বত ও জিনজিয়াংয়ের জন্য উদ্বেগের নয়, চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংযুক্ত ১১টি দেশের জন্যও উদ্বেগের।
চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কারণে জিনজিয়াং গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এর মাধ্যমে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে চীন। জিনজিয়াং একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে রয়েছে। এটি ইউরোপের সঙ্গে চীনের সংযোগ ঘটাবে।