চলতি গ্রীষ্মে ভারতের মহারাষ্ট্রে তীব্র গরমে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রে গরমে এত মানুষের মৃত্যু হয়নি। খবর রয়টার্সের।

কয়েকদিন ধরে উত্তর মহারাষ্ট্র, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া ও বিদর্ভে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে থাকছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতীয় পত্রিকাগুলো জানিয়েছে, মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে বিদর্ভ থেকে। অসহ্য গরমে সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নাগপুর। সেখানে মারা গেছে ১১জন।

মারাঠাওয়াড়ায় মৃতের সংখ্যা ছয়। উত্তর মহারাষ্ট্রের জালগাঁওতে মৃত্যু হয়েছে চার জন এবং আকোলায় তিন জন। অমরাবতীতে এক জন। রাজ্যের প্রায় ৪০০ মানুষের সানস্ট্রোক হয়েছে। সানস্ট্রোকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে নাগপুরে।

এর আগে ২০১৬ সালে তীব্র দাবদাহে মহারাষ্ট্রে ১৯ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপর থেকে এবারই মহারাষ্ট্রে সর্বাধিক তাপমাত্রা দেখা গেল।

সাধারণত মে-জুনে ভারতে দাবদাহ নিয়মিত ঘটনা হলেও চলতি বছর মার্চেই উচ্চ তাপমাত্রাসহ গ্রীষ্ম শুরু হয়ে যায়। এবার মার্চের সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। ওই মাস থেকেই দাবদাহ দেখা দিতে শুরু করে।

আইএমডির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নরেশ কুমার চলতি দাবদাহের জন্য স্থানীয় বায়ুমণ্ডলীয় কারণকে দায়ী করেছেন।

মহারাষ্ট্র ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব ও হরিয়ানাতেও তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এমনিতেই মে মাসে এপ্রিলের তুলনায় গরম বেশি পড়ে। পরিস্থিতিও সেদিকেই যাচ্ছে। ভারতজুড়ে তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।