নিরাপত্তা ঝুঁকি : কাবুল বিমানবন্দরে না যেতে কয়েকটি দেশের সতর্কতা জারি

নিরাপত্তা হুমকির কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া তাদের নাগরিকদের কাবুল বিমানবন্দর থেকে দূরে থাকতে এবং সেখানে না যেতে সতর্ক করেছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য স্থানীয় সময় বুধবার রাতে কাবুল বিমানবন্দর সংক্রান্ত সতর্কতা জারি করে। আফগানিস্তান ছাড়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ এখনও কাবুল বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে অপেক্ষা করছে।
এদিকে, ১০ দিন আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে যাওয়ার পর থেকে ৮২ হাজারের বেশি মানুষকে উড়োজাহাজে করে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ৩১ আগস্টের সময়সীমার মধ্যে তাদের নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেওয়ার জোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন—যদিও তালেবান নির্ধারিত সময়সীমা বাড়ানোর বিপক্ষে, কিন্তু তারা ৩১ আগস্টের পরেও বিদেশি ও আফগানদের দেশ ছাড়ার অনুমতি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল বুধবার কাবুল বিমানবন্দরের অ্যাবে গেট, পূর্ব গেট বা উত্তর গেটে অপেক্ষারতদের ‘অবিলম্বে সেসব স্থান ত্যাগ করতে’ সতর্কবার্তা ঘোষণা করে।
এর আগে যুক্তরাজ্যও একই ধরনের সতর্কতা জারি করে বিমানবন্দর থেকে মানুষকে ‘নিরাপদ স্থানে সরে যেতে এবং আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে’ বলে। অস্ট্রেলিয়াও একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে।
আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ‘অস্থিতিশীল’ উল্লেখ করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে—সে দেশে ‘সন্ত্রাসী হামলার মারাত্মক হুমকি’ রয়েছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্য—কেউই নিরাপত্তাজনিত হুমকির বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেয়নি।
এদিকে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে—একজন ন্যাটো কূটনীতিক বলেছেন, তালেবান কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, আসন্ন কোনো হুমকির ব্যাপারে গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য আমলে না নেওয়ার সুযোগ নেই।