পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬ ফিলিস্তিনি নিহত
অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ছয় জন ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে এবং এই অতর্কিত হামলায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়টি এক বিৃতিতে জানায় আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, হামলায় ইসরায়েলি বাহিনী একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে এবং রকেট হামলা চালায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা যায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামরিক যান ও হেলিকপ্টার নিয়ে শহরটিতে প্রবেশ করছে।খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের হাতে নিহত একজন ফিলিস্তিনি গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের হুয়োরা গ্রামে কাছে একটি অবৈধ বসতিতে দুই ভাইকে গুলি করার সঙ্গে জড়িত ছিল।
এ প্রসঙ্গে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়, সৈন্যরা পশ্চিম তীরে দুইজন ইসরায়েলি বসতি স্থপনকারীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত বন্দুকধারীকে ‘নির্মূল’ করেছে।
এদিকে, রামাল্লাহ থেকে আলজাজিরা জানায়, দক্ষীণাঞ্চলীয় নাবলুস এলাকায় ইসরায়েলি সৈন্যরা গতকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় আরেকটি শরণার্থী শিবিরে হামলা করে।
ইসরায়েলি সেনারা আশকার শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ও তিন জনকে আটক করে নিয়ে যায় যাদের মধ্যে জেনিনে নিহত ৪৯ বছর বয়স্ক ব্যক্তির দুই ছেলে রয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল রুদেইনে বার্তা সংস্থা ওয়াফাকে জানান, রকেট নিয়ে মঙ্গলবার চালানো এই হামলা ‘সর্বাত্মক’ যুদ্ধ। রুদেইনে পরিস্থিতিকে উস্কে দেওয়ার জন্য ও তা বিপজ্জনক মাত্রার দিকে মোড় ঘোরাতে এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে নেওয়া সব উদ্যোগ ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল সরকারকে দায়ী করেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন উত্তেজনা কমিয়ে আনতে দুপক্ষের প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছেন।