প্রতিবাদী মুসলিম ছাত্রীদের তথ্য ও ফোন নম্বর ছড়ানোর অভিযোগ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের হিজাব পরাকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে কর্ণাটক রাজ্যসহ ভারতজুড়ে। হিজাবের পক্ষে আন্দোলনে নেমেছেন বহু শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য, ফোন নম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তাদের অভিভাবকরা। পুলিশকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জেলা পুলিশ সুপার এন বিষ্ণুবর্ধনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এসব তথ্য মেয়েদের হুমকি দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হতে পারে।
পুলিশ সুপার বিষ্ণুবর্ধন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তাদের। খবর এনডিটিভির।
গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে কর্ণাটকের একটি প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে মুসকান খানের মুখোমুখি হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আলোচনার ঝড় ওঠে। হিজাবের পক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে দেশটির একাধিক রাজ্যে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীদের আপাতত হিজাব বা যেকোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক পরা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কর্ণাটক হাইকোর্ট। যতদিন এ বিষয়ে মামলা চলছে, ততদিন ধর্মীয় পোশাক পরে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আগামী সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আবারও এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
এ অবস্থায় সবাইকে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত না করে সবাইকে আদালতের আদেশের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন তিনি।