প্রধান শহর খেরসোন পুনর্দখল করে কিয়েভের উদযাপন
দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রধান শহর খেরসোন থেকে রাশিয়ার সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার ঘোষণার পর ইউক্রেনের সৈন্যদের স্বাগত জানাচ্ছেন সেখানকার উচ্ছসিত বাসিন্দারা।
ভিডিওতে দেখা যায় কিয়েভের সৈন্যরা যখন শহরটিতে প্রবেশ করছে তখন স্থানীয় জনতা রাস্তায় ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শ্লোগানের মাধ্যমে উল্লাস প্রকাশ করছেন।
ইউক্রেনের পেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন খেরসোন ছিল ‘আমাদের শহর’।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়ার আগ্রাসী অভিযানের পর এই আঞ্চলিক রাজধানীটি দখলে নিয়েছিল তারা। কিন্তু সেখান থেকে পিছু হটাকে রাশিয়ার জন্য অন্যতম বিপর্যয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
মস্কো জানিয়েছে খেরসোন থেকে ৩০ হাজার সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে পাশাপাশি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে পাঁচ হাজারের মতো সামরিক সরঞ্জাম ও অন্যান্য সম্পদ।
সন্ধ্যা পর্যন্ত ইউক্রেনের দেওয়া তথ্যে বলা হয় সৈন্যরা দিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীর বরাবর যতদূর সম্ভব এগিয়ে গেছে । শুক্রবারের ছবিতে দেখা যায় নদীটি পারাপারের জন্য ব্যবহৃত অ্যান্টোনিভস্কি সেতু আংশিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তবে কিভাবে সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলো সে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে খেরসোন থেকে চলে যাবার পর রাশিয়ার সৈন্যরা নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থান নিয়েছে।
খেরসোনের রাস্তায় নেচে-গেয়ে আন্দ উদযাপন করছে শহরটির বাসিন্দারা। অ্যালেক্সি সান্দাকভ নামে এজনজন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘খেরসোন এখন মুক্ত, এটা অন্যরকম অনুভূতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি মানুষ আসতে থাকা ইউক্রেনের সৈন্যদের আলিঙ্গন করতে উদগ্রীব।’
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইউক্রেনের সেনাদের পাল্টা আক্রমণে এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ পাল্টে যায়। কিয়েভের কথা অনুযায়ী তারা খেরসোনের কাছের ৪১টি স্থাপনা পুনর্দখল করে নেয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তাঁর সান্ধ্যকালীন ভাষণে বলেন, ‘খেরসোনের জনগণ অপেক্ষা করছিল এই মুহূর্তটির জন্য, তারা খেরসোনের বিষয়ে কখনোই আশা ছাড়েনি।’ তিনি জানান শহরটির বাসিন্দারা রাশিয়ার সৈন্যদের অবস্থানের শেষ চিহ্নটি মুছে ফেলতে কাজ করে যাচ্ছেন।
তবে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মুখপাত্র রাশিয়ার এই ধরনের তৎপরতাকে মানহানিকর পরাজয় হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের চারটি দখল করা প্রদেশে তথাকথিত ‘গণভোট’ আয়োজনের মাধ্যমে সে অঞ্চলগুলোকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণার পর প্রায় চার সপ্তাহ খেরসোন রাশিয়ার সৈন্যদের দখলে ছিল।