ভ্যাটিকানে দুই যাজকের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের বিচার শুরু
২০১২ সালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাটিকান সিটির দুই যাজকের বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। প্রথমবারের মতো সেখানকার অপরাধ আদালতে কোনো পাদ্রির বিরুদ্ধে বিচারের ঘটনা এটি।
ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানায়, দুই পাদ্রির একজনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়ন এবং অন্যজনের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বুধবার আদালতে প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভ্যাটিকানে সেন্ট পায়াস টেন নামের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ইটালিভিত্তিক পাদ্রিদের একটি সংগঠনের মাধ্যমে পরিচালিত হয় সেটি। সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় পোপ ও পাদ্রিদের সহযোগিতার জন্য সেখানে ১২ থেকে ১৮ বছরের শিশুরা প্রশিক্ষণ নেয়। পরবর্তীতে তাদের অনেকের পাদ্রি হিসেবেও অভিষেক ঘটে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২৮ বছরে ফাদার গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি সেখানে শিক্ষাগ্রহণকালে তার চেয়ে কম বয়সি একজনের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন। পরবর্তীতে মার্টিনেলি নিজেও যাজক হিসেবে অভিষিক্ত হন। এই ঘটনা জানার পরও সেটি লুকিয়েছিলেন সেইন্ট পায়াস টেন-এর প্রধান ৭২ বছর বয়সি ফাদার এনরিকো রেডিস। এমনকি তিনি ইটালিয়ান চার্চের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি লিখে ভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্টিনেলি ১৩ বছর বয়সি একটি শিশুর ওপর এক বছর ধরে এই নির্যাতন চালিয়েছেন। সেসময় তার বয়স ছিল ১৮ বছর।
ভুক্তভোগী শিশুর সঙ্গে একই কক্ষে থাকা কামিল জারজেমবোস্কি এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি পোপ ফ্রান্সিস এবং চার্চ কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি লিখেও তার কোনো জবাব পাননি বলে জানান। পরে ২০১৭ সালে ইটালির গণমাধ্যমে তিনি এই তথ্য ফাঁস করেন। সে বছরই ভ্যাটিকান ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ২০১৯ সালে দায়ের করা হয় অভিযোগপত্র।
এই বিষয়ে অভিযুক্তরা এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে কোনো মন্তব্য করেননি। বুধবারও আদালতে তাঁদের আইনজীবীরাই বক্তব্য রেখেছেন। আদালত ২৭ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।