মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে যেভাবে এশিয়ার শীর্ষ ধনী ঝং শানশান
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/12/31/asia.jpg)
টিকা প্রস্তুতকারী ফার্ম ও বোতলজাত পানির প্রতিষ্ঠানের সুবাদে এশিয়ার সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি এখন চীনের ব্যবসায়ী। সম্পদের হিসাবে ভারতের মুকেশ আম্বানি ও চীনের জ্যাক মাকে পেছনে ফেলেছেন ঝং শানশান। এ বছর ঝংয়ের সম্পদ বেড়েছে ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
ঝং শানশানের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ৭৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ বলছে সম্পদশালীদের তালিকা অনুযায়ী, ঝং বিশ্বের ১১তম ধনাঢ্য ব্যক্তি।
ঝং তাঁর কর্মজীবনে সাংবাদিকতা, মাশরুমের চাষ এবং স্বাস্থ্যসেবা খাতে কাজ করেছেন।
ঝং গত এপ্রিলে বেইজিং ওয়ানটাই বায়োলজিক্যাল নামের একটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে চীনা স্টক মার্কেটে শেয়ার বাজারের তালিকায় নিয়ে আসেন। তিন মাস পর হংকংয়ের শেয়ার বাজারে আনেন নিজের বোতলজাত পানির প্রতিষ্ঠান নোংফু স্প্রিংকে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2020/12/31/asia2.jpg 566w)
এভাবেই একসময় চীন ও এশিয়ার সাবেক সর্বাধিক সম্পদশালী আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মাকে হটিয়ে নিজের নাম লেখান ঝং।
হংকংয়ের শেয়ার বাজারে নোংফু স্প্রিং আসার পর এর শেয়ার বেড়েছে ১৫৫ শতাংশ। আর, বেইজিং ওয়ানটাই বায়োলজিক্যালের শেয়ার বেড়েছে দুই হাজার শতাংশের বেশি। বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হলো বেইজিং ওয়ানটাই বায়োলজিক্যাল।
এমন নাটকীয় উত্থানের ফলে ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী দ্রুততম সময়ে ধনী হওয়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন ঝং।
ধনীরা হয়েছে আরো সম্পদশালী
নভেল করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কালে বিশ্বের অনেক শীর্ষ ধনাঢ্য ব্যক্তি আরো সম্পদশালী হয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও।
ভারতে, মুকেশ আম্বানির সম্পদ ১৮ দশমিক ৩ বিলিয়ন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ দশমিক ৯ বিলিয়নে।
এ বছরের শুরুর দিকে ফেসবুক ঘোষণা করেছিল যে তারা ভারতীয় মোবাইল ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠান রিলায়ান্স জিওতে ৫৭০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করছে। মুকেশ আম্বানি রিলায়ান্স জিওর স্বত্ত্বাধিকারী।
এদিক থেকে জ্যাক মা কিছুটা ধরাশায়ী হয়েছেন বলা চলে। গত অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী জ্যাক মার সম্পদের পরিমাণ ৬১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে কমে হয়েছে ৫১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।