যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি হঠাৎ চীনের ‘নরম সুর’ কেন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/07/11/usa_china.jpg)
চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যখন অনেকটাই শক্ত অবস্থান নিতে শুরু করেছে, এর মধ্যেই চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ওয়াশিংটনকে লক্ষ্য করে গত বৃহস্পতিবার দীর্ঘ যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা কিছুটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৭৯ সালে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক এতটা খারাপ ও বিপজ্জনক আর কখনোই হয়নি। কিন্তু এ উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি তিনি এ পরিণতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটনে বর্তমান প্রশাসন চীন বিষয়ে যে কৌশল নিয়েছে তা ‘অনেক ভুল ধারণা ও মিথ্যার’ ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।
ওয়াং বলেন, ‘অমি আশা করি যুক্তরাষ্ট্র ঠাণ্ডা মাথায় চীনের ব্যাপারে নিরপেক্ষ, বাস্তবমুখী ও যৌক্তিক নীতি নেবে।’
সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন এবং তার পশ্চিমা কিছু মিত্র দেশ যখন শি জিন পিংয়ের চীনকে ‘চরম উদ্ধত’ ও ‘উচ্চাভিলাষী’ হিসেবে উপস্থাপনের অব্যাহত চেষ্টা করে চলেছে, সে সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের আপসমূলক বক্তব্য কেন, তা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে।
ইংরেজি দৈনিক দ্য সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে দেওয়া এক মন্তব্যে সেখানকার চীনা একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের গবেষক লু শিয়াং বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত চীনা পররাষ্ট্র দপ্তর এসব বক্তব্য দিচ্ছে। নির্বাচনের আগে চীন ওয়াশিংটনকে কিছুটা শান্ত রাখতে চাইছে।
চীনের জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র গতকাল শুক্রবার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির যে চারজন নেতার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাদের একজন পার্টির শীর্ষ নীতি-নির্ধারণী কমিটি পলিটব্যুরোর অত্যন্ত ক্ষমতাধর একজন সদস্য।
এত উচ্চ পর্যায়ের কোনো নেতার ওপর এর আগে কখনই নিষেধাজ্ঞা চাপায়নি যুক্তরাষ্ট্র।