যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণকারীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আনতে পারে ইইউ

ইউরোপে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে গত মার্চে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ, এমন কারণ দেখিয়ে নাগরিকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করার পথে হাঁটতে যাচ্ছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছিল ইইউভুক্ত ২৭ দেশের প্রতিনিধিরা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার পর অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ইউরোপের দেশগুলো। আগামী ১ জুলাই থেকে ইউরোপে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হচ্ছে। কোন কোন দেশের পর্যটকদের জন্য বিধিনিষেধ তোলা হবে, তার তালিকা তৈরি করছে ইইউভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা। পর্যটকদের দুটি সম্ভাব্য তালিকা হচ্ছে। করোনা নিয়ন্ত্রণের মাত্রার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের অনুমোদন কিংবা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, গত ১৪ দিনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে করোনায় লাখে গড় আক্রান্তের যে হিসাব পাওয়া গেছে, তার বেশি আক্রান্ত হলে, সে দেশের নাগরিকরা ইউরোপে প্রবেশের অনুমতি পাবেন না। ইইউভুক্ত দেশগুলোতে বর্তমানে প্রতি লাখে ১৬ জন আক্রান্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে লাখপ্রতি ১০৭, ব্রাজিলে ১৯০ ও রাশিয়ায় ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে ওই তিন দেশের নাগরিক বা পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়ার পক্ষে নয় ইউরোপের অধিকাংশ দেশই। প্রতি ১৪ দিন অন্তর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কোন কোন দেশের পর্যটকদের ঢুকতে দেওয়া হবে, তার তালিকা চূড়ান্ত করতে চায় বেশিরভাগ দেশ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর এক কূটনীতিক গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে বলেন, ‘কোন কোন দেশের পর্যটকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে, তার কোনো তালিকা এ মুহূর্তে নেই। শুধু মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি এক লাখে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনা করে ভ্রমণকারীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে কি না, তা ভেবে দেখা হচ্ছে। এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’