সরকার গঠনে নারীদেরও অংশগ্রহণ চায় তালেবান

নতুন সরকার গঠন করতে যাচ্ছে তালেবান। গত রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর পুরো আফগানিস্তানই তালেবানের দখলে চলে গেছে। এখন শুধু তালেবানের নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষা।
এর মধ্যেই তালেবান জানিয়েছে, তারা আফগান সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে এবং তারা চায় তাদের সরকারে নারীরাও অংশগ্রহণ করুন। বার্তা সংস্থা এপি ও আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তালেবানের সাংস্কৃতিক কমিশনের সদস্য এনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, তালেবান সরকারে অংশগ্রহণের জন্য তারা নারীদের আহ্বান জানাচ্ছেন।
তালেবানের শীর্ষ কোনো নেতার পক্ষ থেকে সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়ে প্রথমবারের মতো এমন মন্তব্য করা হলো, যেখানে নারীদের অংশগ্রহণের কথাও বলা হয়েছে।
এনামুল্লাহ সামানগানি বলেন, ইসলামিক আমিরাত চায় না যে, নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হোক। শরিয়া আইন অনুযায়ী, সরকারি কাঠামোতে তাদের অংশগ্রহণ থাকা উচিত।

তালেবানের নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য এনামুল্লাহ দেননি। অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, পুরোপুরি ইসলামিক শাসন অনুযায়ী তারা সরকার গঠন এবং দেশ পরিচালনা করবে। সব পক্ষকেই এতে অংশ নিতে হবে।
আফগানিস্তানের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের খবরে আবারও নারী সংবাদ পাঠকদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তানের কোনো চ্যানেলে আর নারী উপস্থাপিকাকে দেখা যায়নি।
তালেবান ক্ষমতা দখলের পর অনলাইনে প্রচারিত একটি ছবিতে দেখা যায়, আফগানিস্তানের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেলে একজন পুরুষ উপস্থাপক খবর পড়ছেন, যার সামনে তালেবানের পতাকা রয়েছে। তখন হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন যে, নারীদের আর সংবাদ উপস্থাপনায় দেখা যাবে না। কিন্তু একদিন পরই এই ভুল ভাঙল।
টোলো নিউজের সংবাদ বিভাগের প্রধান মিরাক পোপাল একটি টুইট করেছেন। যেখানে দেখা যায়, একজন নারী উপস্থাপিকা তালেবান মিডিয়া টিমের একজন সদস্যের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। তিনি আরেকটি পোস্ট শেয়ার করেছেন যে, যেখানে দেখা যাচ্ছে হিজাব পরে একজন নারী কর্মী সংবাদকক্ষের সকালের মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।
রোববার তালেবান আফগানিস্তান দখলের পর থেকেই লোকজনের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে। সামনের দিনগুলোতে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়েই যেন জল্পনা শেষ হচ্ছে না। এরই মধ্যে লোকজন দলে দলে আফগানিস্তান থেকে পালানোর চেষ্টা করছে। তালেবানের পক্ষ থেকে বার বার লোকজনকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং তারা দেশের জনগণের সেবায় কাজ করবে।