সুপারিশে চাকরি পাওয়াদের বরখাস্তের নির্দেশ তালেবান নেতার
বর্তমানে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় রয়েছে তালেবানরা। দেশটির শীর্ষ পর্যায়, অর্থাৎ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে রয়েছে তালেবানের লোকেরা। ক্ষমতায় আসার পর দেশটির সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এসেছে রদবদল। নতুন করে নিযুক্ত হয়েছেন অনেকে, পেয়েছেন চাকরিও। তবে, এদের মধ্যে যারা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তাদের বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা। আজ রোববার (১৯ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম জানায়, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা নতুন এক ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। এতে করে চাকরি হারাবেন তালেবান কর্মকর্তাদের সুপারিশ বা তদবিরে চাকরি পাওয়া স্বজনরা। এমনকি, চাকরিরত কর্মকর্তাদের ছেলে, পরিবারের সদস্য বা স্বজনদের সরকারি চাকরি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবানরা। এরপরেই দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বিদায় করতে থাকে তারা। এমনকি, অনেকে প্রাণ ভয়ে দেশ ছাড়েন। এরপরেই ঊর্ধ্বতন আসনে বসতে থাকে তালেবানরা। ওসব ঊর্ধ্বতনদের সুপারিশ বা তদবিরে চাকরি পান অনেকে, বলে ওঠে অভিযোগ।
পাকিস্তানের পেশোয়ার ভিত্তিক দ্য আফগানিস্তান ইসলামিক প্রেস বলছে, এমন অভিযোগের পরেই এই ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন তালেবান শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা। স্বাক্ষর করা ডিক্রির একটি ছবি গতকাল শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে পোস্ট করেছে আফগানিস্তানের প্রশাসনিক বিষয়ক অফিস।
তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অর্থনৈতিক ও মানবিক সংকটে ভুগছে আফগানিস্তান। দুই দশক ধরে দেশটিতে লড়েছে বিদেশি বাহিনী। এ সময়ে হাজার হাজার বেসামরিক নিহত হন এবং বাস্তুচ্যুত হয় লাখ লাখ মানুষ।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে তালেবান সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থসহ বিভিন্ন সম্পত্তি আটকে দেওয়া হয়েছে এবং বিদেশি সহায়তা কমে গেছে।
আফগানিস্তানে মাটির নিচে প্রাকৃতিক গ্যাস, কপারসহ বিভিন্ন দুর্লভ খনিজ মজুত রয়েছে, যার বর্তমান মূল্য এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তবে, কয়েক দশক ধরে দেশটিতে চলা অশান্তিতে খনিজ উত্তোলন সম্ভব হয়নি।