স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পানির সংকট ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে : ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘ শিশু সংস্থা (ইউনিসেফ) বলছে, বিশ্বজুড়ে প্রতি চারটির মধ্যে একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পানির অভাব রয়েছে। এ কারণে ১৮০ কোটি মানুষ নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ সহ নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ডব্লিউএইচও ও ইউনিসেফের এক যৌথ প্রতিবেদনে গতকাল সোমবার এ কথা বলা হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্বের ১৬৫টি দেশের ওপর গবেষণার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। এতে বলা হয়, পানির অভাব রয়েছে এমন কেন্দ্রগুলোতে রোগী ও কর্মী উভয়েই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, পানি, স্যানিটেশন ও পরিচ্ছন্নতা ছাড়া কোনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাজ করা মানে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়া ডাক্তার ও নার্সদের কাজে পাঠানো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরো বলেন, কোভিড-১৯-এর বিস্তার ঠেকাতে এসব প্রাথমিক মৌলিক উপকরণ। কিন্তু বিশেষ করে স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে এখনো এসবের ঘাটতি রয়েছে।
ইউনিসেফের প্রধান হেনরিয়েটা ফোর বলেন, পরিষ্কার পানি ও নিরাপদ টয়লেট এমনকি সাবান ছাড়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে কাজ করা স্বাস্থ্যকর্মী ও সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজন—সবার জীবনই ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বের স্বল্পোন্নত ৪৭টি দেশের পরিস্থিতি শোচনীয়। এসব দেশের অর্ধেক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই খাবার পানি নেই। এক চতুর্থাংশে পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব এবং পাঁচটির মধ্যে তিনটিতে স্যানিটেশন সুবিধা নেই। বিশ স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ হিসাব করে দেখিয়েছে, এসব দেশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে পানির চাহিদা পূরণে জনপ্রতি এক মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে।