১০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/01/27/philistin.jpg)
এ বছরের শুরু থেকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার পর সবচেয়ে ভয়ানক দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) পরিচালিত সেনা অভিযানে ১০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের সময় নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আর অন্য একজন নিহত হয়েছে জেরুজালেমের উত্তরে আল-রাম শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে।
জেনিন অভিযানকে ফিলিস্তিনিরা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। এখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও ২০ জন, যাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে রয়েছে একজন বৃদ্ধা নারী। জেনিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে তার নাম মাগদা ওবায়েদ। তবে অভিযানের পর জেনিন থেকে সরে যাওয়া ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে তারা নারী নিহত হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দল ফাতাহ সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন ‘আল আকসা শহিদ বিগ্রেড’ জানিয়েছে নিহতদের মধ্যে তাদের একজন যোদ্ধা রয়েছে।
জেনিন পাবলিক হাসপাতালের প্রধান ওইসাম বাকের বলেন, ‘অভিযানের আকার ও আহতদের সংখ্যার বিচারে এ ধরনের আগ্রাসি হামলার ঘটনা নজীরবিহীন।’
বাকের আরও বলেন, ‘হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকা একজন শহিদকে নেওয়ার জন্য যখন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার চেষ্টা করছিল তখন ইসরায়েলি সেনারা সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে গুলি চালায় এবং তাদের কাছে আসতে বাধা দেয়।’
বাকের জানান ইসরায়েলি সৈন্যরা হাসপাতাল লক্ষ করে টিয়ার শেল ছোড়ে যার কারণে সেখানে থাকা শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
তবে ইসরায়েলে সেনাবাহিনী হাসপাতালে টিয়ার শেল ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, কেউ হাসপাতালে উদ্দেশ্যমূলকভাবে টিয়ার গ্যাস ছোড়েনি। তবে তারা এটাও জানায় ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতাল খুব বেশি দূরে নয়।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2023/01/27/philistin-skrinn-shtt_0.jpg)
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনেহ ঘোষণা করেছেন যে, পশ্চিম তীরে বেড়ে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের মুখে কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে নিরাপত্তা সমন্বয় বন্ধ রাখবে।