যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দিতে দেখা হবে সামাজিক যোগাযোগও
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দিতে এবার থেকে দেখা হবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও। ট্রাম্প প্রশাসন ভিসাপ্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারের বিস্তারিত তথ্য চাওয়ার পরিকল্পনার অনুমোদন করেছে।
এই নতুন নিয়মের আওতায় দূতাবাস কর্মকর্তারা ভিসাপ্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহৃত নাম এবং গত পাঁচ বছরের তথ্যাদি জানতে চাইতে পারবেন।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত ই-মেইল আইডি, মুঠোফোন নম্বর এবং ১৫ বছরের জীবনবৃত্তান্তও জানতে চাইতে পারবেন। এ বছরগুলোতে ভিসাপ্রার্থী কোথায় ‘ঠিকানা পরিবর্তন’ করেছেন, তা-ও জানতে চাইতে পারেন দূতাবাসের ভিসা দেওয়ার কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নতুন নিয়মে এ তথ্যগুলো স্বেচ্ছায় সরবরাহ করতে হবে। ভিসার জন্য চাহিদাপত্রে এ বিষয়গুলোর যেকোনোটি লেখা থাকবে। প্রাথমিকভাবে উত্তর দেওয়ার বিষয়টি হবে ঐচ্ছিক।
তবে এসব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া না হলে ভিসাপ্রত্যাশীর আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে দেরি হতে পারে বলে নতুন নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো শক্তপোক্ত করতে এটা জরুরি।

তবে মার্কিন স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ব্যাপকভাবে এখনই এই নতুন নিয়ম বাস্তবায়ন করা হবে না। বিশেষ ক্ষেত্রে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ ভাগ ভিসাপ্রার্থী এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারেন।
তবে সমালোচকদের যুক্তি, এই একান্ত ব্যক্তিগত তথ্য অনুসন্ধান ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পর্কিত নয়।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিপিবি) ‘ভিসা ওয়েভার’ প্রকল্পের আওতায় ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শনাক্তকরণ’ নামে ভ্রমণকারীদের জন্য একটি নতুন আইনের প্রস্তাব উত্থাপন করে।
ছয় মাসের জরুরি অনুমোদন পাওয়া এই নতুন নীতি গত ২৩ মে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থাপনা ও বাজেট দপ্তর অনুমোদন দিয়েছে।

বিবিসি