ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ৭৭ জন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যাম আল জাজিরা। এটি গত মাসে কার্যকর হওয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনের ঘটনা।
আল জাজিরার হানি মাহমুদ গাজা উপত্যকা থেকে জানান, ইসরায়েলি হামলা তিনটি নির্দিষ্ট স্থানে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এর মধ্যে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের কাছে অবস্থিত আল-মাওয়াসি এলাকাও রয়েছে। যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারে ভরা ছিল।
ইসরায়েল জেইতুন পাড়ার একটি ভবনে হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে একটি পুরো পরিবার রয়েছে। মাহমুদ বলেন, এই ভবনের ভেতরে একজন বাবা, একজন মা ও তাদের তিন সন্তান নিহত হয়েছেন।
হানি মাহমুদ আরও বলেন, তীব্র আক্রমণের ফলে গাজা উপত্যকা জুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকেও ইসরায়েলি বোমা হামলা থামেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুদ্ধ এখনও চলছে, চলমান সহিংসতার কারণে ফিলিস্তিনিরা এখনও মারা যাচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বুধবার গাজা জুড়ে হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে, যেখানে ভূখণ্ডের দক্ষিণে খান ইউনিসে তাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। সেনাবাহিনী ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য যেকোনো হুমকি দূর করার জন্য জোরপূর্বক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
কিন্তু হামাস ইসরায়েলি বাহিনীর ওপর গুলি চালানোর দাবি প্রত্যাখ্যান করে এটিকে গাজায় তাদের অপরাধ ও লঙ্ঘনকে ন্যায্যতা দেওয়ার একটি তুচ্ছ এবং স্বচ্ছ প্রচেষ্টা বলে অভিহিত করেছে। হামাস ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গণহত্যা পুনরায় শুরু করার অভিযোগ এনেছে।
আল জাজিরার নুর ওদেহ উল্লেখ করেছেন, যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরায়েল নিজেই বিচারক, জুরি ও জল্লাদ হওয়ার অধিকার প্রয়োগ করছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক