দুবাইয়ে ‘লিভ টুগেদারে’ যুগলের জেল
‘অবৈধভাবে’ এক ফ্ল্যাটে বসবাসের (লিভ টুগেদার) জন্য এক যুগলকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি আদালত। এর আগে নিম্ন আদালত এশীয় ওই যুগলকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। দেশটির ফেডারেল সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের রায়কে সমর্থন করে কারাদণ্ডের রায় বহাল রাখেন।
গত ৭ জুলাই দেশটির গণমাধ্যম খালিজ টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয় ।
আদালতের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার এই পুরুষ ও নারী বিবাহিত না হওয়া সত্ত্বেও একই ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন, যা শরিয়াহ আইন পরিপন্থী।
বিচারক ওই যুগলের কৃতকর্মকে ‘পাপকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন। কেননা তাঁরা কোনো প্রকার আইনি সম্পর্ক ছাড়াই বসবাস করছিলেন।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর দেশটির নিম্নআদালত প্রথমে তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। তবে আপিল আদালত এই শাস্তি কমিয়ে এক মাস ধার্য করেন।
তবে কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া ওই যুগলের দাবি, তাঁদের ভুলভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কারণ তাঁরা যে অ্যাপার্টমেন্টে একা ছিলেন তার কোনো প্রমাণ নেই। এই বিষয়টি বিবেচনা করে সুবিচারের জন্য তাঁরা উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
তবে দুবাইয়ের উচ্চ আদালত তাঁদের আবেদন প্রত্যাখ্যাত করে সরকারি আইনজীবীর উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে তাঁদের দোষী সাব্যস্ত করেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেও এই যুগল অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে আদালতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইনি সম্পর্ক ছাড়া লোকচক্ষুর আড়ালে কোনো স্থানে নারী ও পুরুষের একসঙ্গে থাকা নিষিদ্ধ। ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক এটি পাপ কাজ।