ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা পুনর্নির্মাণে অর্থ দেবে না কাতার
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি বলেছেন, ইসরায়েলের আক্রমণে ধ্বংস হওয়া গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণের জন্য কাতার অর্থ ব্যয় করবে না। স্থানীয় সময় রোববার (৭ ডিসেম্বর) দোহা ফোরামে সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা জানান।
কার্লসন যখন গাজা পুনর্নির্মাণের অর্থায়নের প্রশ্ন তোলেন, তখন থানি এটিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সঙ্গে তুলনা করেন। ইউক্রেন পুনর্নির্মাণের জন্য রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকলেও গাজার ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন : নিউইয়র্কে ইসরায়েল, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী থানি বলেন, একটি দ্বিমুখী নীতি রয়েছে, যেখানে গাজার পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব ইসরায়েলের বদলে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের ওপর চাপানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমন নই যে, অন্যরা যা ধ্বংস করেছে তা পুনর্নির্মাণের জন্য চেক লিখব।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কাতার ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন অব্যাহত রাখলেও পুনর্নির্মাণের অর্থায়নের দায়িত্ব নেবে না।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী গাজার নাগরিকদের অন্য কোথাও স্থানান্তরের ধারণাও প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেন, তাদের (গাজাবাসীর) সেখানেই বসবাস করার অধিকার আছে এবং তারা তাদের দেশ ছেড়ে যেতে চায় না।
ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেন। তবে গাজায় চলমান সংঘাতের বিষয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি- যুদ্ধবিরতি চলাকালীন গাজায় বোমা হামলা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন : গাজা শান্তি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে হামাস-ইসরায়েল মতানৈক্য
থানির মতে, এই অঞ্চলের পরিস্থিতি নির্ভর করে ইসরায়েল কীভাবে এই স্তরে থামে ও পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয় তার ওপর। তিনি আরও দাবি করেন, ইসরায়েলের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশটি শান্তির জন্য একটি অনিচ্ছুক অংশীদার। দুই-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিরুদ্ধে গৃহীত প্রস্তাবগুলো এই অঞ্চলকে শান্তি থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অতি ডানপন্থি ও চরমপন্থি এজেন্ডার কাছে জিম্মি থাকতে পারি না।’

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক