খাদ্যে ভেজালে মাসে মৃত্যু ৩৫ হাজার
ভেজাল খাদ্যের কারণে বিশ্বে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার মানুষ মারা যায়। প্রতি বছর দশজনে একজন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এ কারণে। ভেজাল খাদ্যের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে পাঁচ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুরা। প্রতি বছর এ কারণে মারা যাওয়া মানুষের ৩০ শতাংশের বয়সই পাঁচ বছরের নিচে।
আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মাঠ থেকে আঙিনা পর্যন্ত, কারখানা থেকে প্লেট পর্যন্ত খাবারে খেয়াল রাখার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
ভেজাল খাদ্যের কারণে সাময়িকভাবে ডায়রিয়া, পেটের পীড়া ও বমি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, এ কারণে ক্যানসার, কিডনি বা যকৃতের অসুখ, মস্তিষ্কের সমস্যার মতো দীর্ঘমেয়াদি অসুখ হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খাদ্যে ভেজালের কারণে প্রতি বছর চার লাখ ২০ হাজার মানুষ মারা যায়। এরমধ্যে এক লাখ ২৫ হাজারই শিশু, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নিচে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক পরিচালক কাজুয়াকি মিয়াগিশিমা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত বাস্তবের সংখ্যাটা আরো বেশি।’
বিশ্বে খাদ্য বাণিজ্যের কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন মিয়াগিশিমা। তিনি বলেন, ‘যদি একটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা দুর্বল হয় আর ওই দেশটি যদি খাদ্য রপ্তানি করে তবে খাদ্য উৎপাদন শৃঙ্খলই দুর্বল হয়ে পড়ে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো খাদ্যবাহিত রোগের ঝুঁকিতে ভুগছে বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো জানায়, খাদ্যবাহিত রোগের মধ্যে ডায়রিয়া অন্যতম। প্রতি বছর দুই লাখ ৩০ হাজার মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ডায়রিয়ার ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি আছে শিশুরা।
প্রতি বছর সারা বিশ্বের ৯৬ হাজার শিশু মারা যায় কেবল ডায়রিয়াতেই।