নির্ভয়ার মা বললেন, ‘অপরাধই জিতেছে’
দিল্লির আলোচিত নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার সেই ‘কিশোর’ আসামি মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল রোববার। ভারতের হাইকোর্ট এরই মধ্যে তাঁর মুক্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা স্থগিতাদেশ নামঞ্জুর করেছেন।
আদালতের এই রায়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন নির্ভয়ার মা আশা সিং। তিনি বলেছেন, ‘এতে ভুল বার্তা দেওয়া হলো। ঘটনার দিন থেকে আমি বিচারের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি। কিন্তু আজ অপরাধ জিতল।’
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে আশা সিং তার মেয়ের নাম মিডিয়ায় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের নাম জ্যোতি সিং। আর এ জন্য আমি লজ্জিত নই।’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্ভয়ার হত্যা ও গণধর্ষণের ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে জানান জ্যোতির মা। তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকরা শুধু সহমর্মিতা জানান, ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার দেন। জানি না আর কত মেয়েকে এভাবে জীবন দিতে হবে।’
আশা বলেন, ‘রাজনীতিকদের অঙ্গীকারই যথেষ্ট নয়। রাজনৈতিক নেতাদের উচিত এবার সজাগ হওয়া। কারণ তাদের রাজনৈতিক খেলায় আমরা দরিদ্ররা সবসময় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন বলে জানান জ্যোতির বাবা বদ্রিনাথ সিংও। তিনি বলেন, ‘এই সংগ্রাম শেষ হবে না। আমরা সংগ্রাম চালিয়ে যাব। আর মানুষকে বলব আমাদের সমর্থন করতে।’
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্যারামেডিকেলের ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে যখন ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়, তখন তার বয়স ছিল ১৮ বছরের কিছু কম।
তিন বছর আগে দক্ষিণ দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসে ২৩ বছর বয়সী জ্যোতিকে ধর্ষণ করে ছয় ব্যক্তি। এর মধ্যে একজনকে ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বলেন আদালত।
ওই ঘটনায় জ্যোতি মারাত্মক জখম হন। তাঁকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল, পরে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। ১৩ দিন পর ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর জ্যোতি মারা যান।