যুক্তরাজ্যের কর-স্বর্গগুলোতে ‘সরাসরি শাসন প্রয়োজন’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/04/05/photo-1459863796.jpg)
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যে অঞ্চলগুলোতে ব্রিটিশ ট্যাক্স আইন কাজ করছে না, সেসব অঞ্চলের ওপর ব্রিটেনের সরাসরি শাসনব্যবস্থা আরোপ করা প্রয়োজন। দেশটির লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন এ দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ব্রিটেনবাসীর ক্ষোভ সরকারের বোঝা উচিত।
গত সোমবার মোসাক ফনসেকার ফাঁস করা নথিতে কর ফাঁকির ব্যাপারে ব্রিটিশদের নাম আসার পরিপ্রেক্ষিতে করবিন আজ মঙ্গলবার এ দাবি জানালেন। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কর স্বচ্ছতায় ব্রিটেন এগিয়ে রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া এক কোটি ১৫ লাখ গোপন নথি ‘পানামা পেপারস’ নামে খ্যাত। এই নথিগুলো ফাঁস হওয়ায় বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এসব নথিতে বিশ্বের শতাধিক ক্ষমতাধর ব্যক্তি অথবা তাঁদের নিকটাত্মীয়দের বিদেশে কর ফাঁকি ও অর্থপাচারের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
মোসাক ফনসেকা জানিয়েছে, গত ৪০ বছর ধরে এসব ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের জন্য কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
ফাঁস হওয়া নথিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের প্রয়াত বাবা ইয়ান ক্যামেরনেরও নাম রয়েছে। তিনি মোসাক ফনসেকার সেবা নিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীদের একটি তহবিল গঠনে সহায়তার করার পর তিনি বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে সম্পদের তথ্য গোপন রেখেছিলেন।
ব্লেয়ারমোর হোল্ডিংসে ডেভিড ক্যামেরনের কোনো শেয়ার নেই। ১৯৮২ সালে পানামাভিত্তিক এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় তাঁর প্রয়াত বাবা সহায়তা করেছিলেন। এই বিদেশি কোম্পানিটিতে ক্যামেরনের পরিবারের অন্য সদস্যদের শেয়ার রয়েছে কি না তা জানা যায়নি।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অনেকগুলো অঞ্চলের নাম ফাঁস হওয়া নথিতে উল্লেখ করে প্রশ্ন করা হয়েছে, ব্রিটেন এগুলোর ব্যাপারে কী উদ্যোগ নেবে।
এসব অঞ্চলের ওপর সরাসরি শাসন কায়েম করাই এর সমাধান উল্লেখ করে করবেন বলেন, যদি এসব অঞ্চলে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকে, তাহলে ওই অঞ্চলগুলোকে ব্রিটেনে কর আইন মেনে চলতে হবে।
অন্যথায় এগুলোর ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
করবিন আরো বলেন, ‘যদি সরকার এসব অঞ্চলের ওপর সরাসরি শাসন জারি করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তা দ্রুতই নিতে হবে।’