যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেন ব্রিটিশ মন্ত্রী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/04/13/photo-1460535213.jpg)
যৌনকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতিমন্ত্রী জন হুইটিংডেল। তবে এ জন্য তাঁর বর্তমান পদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি করেন তিনি।
বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, মন্ত্রিসভায় জনের যোগদানের আগে থেকেই দেশটির চারটি সংবাদপত্রের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য ছিল। কিন্তু তারা তা প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
জন হুইটিংডেল জানান, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যখন তিনি জানতে পারেন যে ওই নারী একজন যৌনকর্মী, তখনই তিনি তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেন।
বিবিসির নিউজ নাইট অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে হুইটিংডেল বলেন, ‘২০১৩ সালের আগস্ট মাস থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয় হয় ম্যাচ ডট কমের মাধ্যমে। তাঁর এবং আমার বয়সের বেশি ব্যবধান ছিল না এবং আমরা কাছাকাছি এলাকায় বাস করতাম। এই সময়ের মধ্যে কখনোই সে আমাকে তাঁর আসল পেশার করা বলেনি। একসময় আমি খবর পেলাম যে কেউ একজন আমার সম্পর্কে একটি গল্প একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করছে। তখনই প্রথম বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারি আমি। এরপরই ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করি।’
বর্তমান পদে আসার অনেক আগের ঘটনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা কোনোভাবেই আমার বর্তমান পদ বা দায়িত্বের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
এদিকে এই খবর প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমগুলোর ওপর চাপ দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিবিসির রাজনৈতিক সম্পাদক লরা কিউয়েন্সবার্গ। তাঁর মতে, বিষয়টা মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ককে ঘিরে নয়। বিষয়টা হলো গণমাধ্যমের ওপর তথ্য প্রকাশের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে।
অবশ্য একাধিক সংবাদপত্র নিউজ নাইটকে জানিয়েছে যে, যেহেতু খবরটি জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট নয় সেহেতু তারা এটি প্রকাশে আগ্রহী হয়নি।
এদিকে মন্ত্রীর বিষয়ে ওঠা এমন অভিযোগের বিষয়ে ব্রিটেনের সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সংস্কৃতিবিষয়কমন্ত্রী একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি। নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার আছে তাঁর।
সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে হুইটিংডেল এক যুগ ধরে হাউস অব কমন্সের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলতি মাসের শুরুতে একটি গণমাধ্যমে খবর আসে যে, তাঁর সঙ্গে একজন পেশাদার যৌনকর্মীর সম্পর্ক ছিল।