কিরণ বেদির প্রচার-প্রধানের পদত্যাগ
ভারতের দিল্লিতে ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের দিন কয়েক আগে বড় ধাক্কা খেলেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কিরণ বেদি। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এই প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা দলের প্রধান নরেন্দ্র টান্ডন পদ্ত্যাগ করেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহকে দেওয়া এক চিঠিতে পদত্যাগের বিষয়টি জানান দলের দিল্লি শহর শাখার সাবেক সেক্রেটারি টান্ডান। চিঠিতে তিনি বলেন, বেদির ‘একতরফা নির্দেশ’ মেনে চলা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি এ-ও বলেন, বেদির ব্যক্তিগত এক কর্মী তাঁকে অপমাণ করেছেন। তাই তাঁর (বেদি) সঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়।
টান্ডনের পদ্ত্যাগের পর বিজেপি বলেছে, তাঁর মতো ‘নিচু সারির’ নেতার পদত্যাগে দলের নির্বাচনী প্রস্তুতিতে তেমন সমস্যা হবে না। কারণ তাঁর দক্ষতা চোখে পড়ার মতো ছিল না। তবে বিশ্লেষকরা টান্ডনের এ পদত্যাগকে দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কিরণ বেদি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র প্রবীণ শঙ্কর কাপুর বলেন, ‘তাঁর (টান্ডন) অতীত রেকর্ড ভালো নয়। তিনি অতীতে দলের জন্য সংকট তৈরি করেছেন। ২০১৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির তিমারপুর আসনে বিজেপির প্রার্থী রাজনী আব্বির বিপরীতে প্রার্থিতা দিয়েছিলেন।’ তিনি বলেন, টান্ডনের পদত্যাগে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
’৯০-এর দশকে বিজেপির ছাত্র ইউনিট অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন টান্ডন। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের সভাপতিও ছিলেন। পরবর্তী সময়ে দিল্লি শহর বিজেপির সেক্রেটারি হন তিনি।