ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২৯৪ সদস্য আসনবিশিষ্ট বিধানসভার নির্বাচনে এবার শাসক-বিরোধী মিলিয়ে সর্বসাকল্যে জয় পেয়েছেন ৫৬ জন সংখ্যালঘু মুসলিম প্রার্থী। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিজয়ী শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা রয়েছে সবচেয়ে বেশি।

তৃণমূলের টিকেটে জয় পেয়েছেন মোট ২৯ জন মুসলিম প্রার্থী। অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে জয়ী প্রার্থী ১৮ জন, সিপিআইএমের আটজন এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের একজন মুসলিম প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

এর আগে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জয়ী মুসলিম বিধায়কের সংখ্যা ছিল ৫৯ জন। সেই তুলনায় এবার জয়ী প্রার্থীর সংখ্যা তিনজন কমেছে।

উল্লেখ্য, ভারতীয় রাজনীতিতে সংখ্যালঘু ভোটের দখল নেওয়ার লক্ষ্যে মুসলিমদের প্রার্থী করাটা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নতুন কিছু বিষয় নয়। বরাবরই এমনটা ঘটে আসছে। ২০১১ সালের নির্বাচনে ৩৮ জন মুসলিমকে প্রার্থী করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলের প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এবার সেই সংখ্যা বাড়িয়ে ৫৭ জনকে টিকেট দেন তিনি, যার মধ্যে এবার জয়ী হলেন ২৯ জন। তৃণমূলের জয়ী নামি বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী জাভেদ খান, ফিরহাদ হাকিম। এ ছাড়া শাসকদলের পরিচিত মুখ আবদুর রেজ্জাক মোল্লা, রফিকুর রহমান, রুকবানুর রহমান, গোলাম রব্বানি, জাকির হোসেন, ফজল করিম, তোরাফ হোসেন মণ্ডল সবাই জয় ছিনিয়ে এনেছেন।

কংগ্রেসের জয়ী বিধায়কের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, আবদুল মান্নান, আসিফ মেহেবুব, আবদুর রহিম কাজী, শেখ সফিউদ্দিন, মুহাম্মদ মুতাক্কিন আলম প্রমুখ।

সিপিআইএমের জয়ী বিধায়কদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন আনিসুর রহমান সরকার, রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, রফিকুল ইসলাম, জাহান আরা খান, আমজাদ হোসেন। অন্যদিকে ফরওয়ার্ড ব্লকের একমাত্র জয়ী প্রার্থী হলেন আলী ইমরান রামজ।

ছয় দফায় ভোট পর্বের পর গতকাল বৃহস্পতিবার ফলাফল প্রকাশিত হয়। সেই ফলাফলে তৃণমূল কংগ্রেস পায় ২১১টি আসন। এ ছাড়া কংগ্রেস ৪৪টি, বামফ্রন্ট ৩২টি, বিজেপি তিটি এবং অন্যরা চারটি আসনে জয় পায়।