শিশুর ছয় ইঞ্চি লম্বা লেজ!
এগারো মাসের শিশুটির পেছনে ছিল ছয় ইঞ্চি লম্বা লেজ। আর এ জন্য বাড়িতে আদর করে তাকে ‘ছোট বানর’ নামে ডাকা হতো।
অবাক হচ্ছেন? মানবশিশুর আবার লেজ হয় কি করে! অবাক করার মতোই ঘটনাটি ঘটেছে চীনের সিকুয়া প্রদেশে। সেখানে ইয়াং ইয়াং নামে এক শিশু জন্মের সময় বিরল একটি লেজ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
পিপলস চায়না ডেইলির সংবাদের সূত্রে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, গর্ভে থাকা অবস্থাতেই ইয়াং ইয়াংয়ের লেজ গজায়। আর শিশুটি জন্মের সময় ১৫ সেন্টিমিটার লেজ নিয়েই জন্মায়।
ইয়াং ইয়াংয়ের মা জানান, গর্ভাবস্থায় ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তিনি যখন চিকিৎসকের কাছে যান,তখন চিকিৎসকরাও এ লেজ দেখে অবাক হয়েছিলেন। এন্ডোস্কপির পর শিশুটির লেজ সম্পর্কে তাঁরা কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
জন্মের পর ছেলের এমন অবস্থা দেখে খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন মা। তবে শিশুটির দাদি অবশ্য বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তাঁর ধারণা ছিল, বড় হয়ে এটির সাহায্যে ইয়াং ইয়াং বড় অঙ্কের টাকা কামাতে পারবে।
অবশ্য জন্মের সময় হতভম্ব হয়ে গেলেও পরে ইয়াং ইয়াংয়ের মা এতেই অভ্যস্ত হয়ে যান। কিন্তু লেজসহ ‘ছোট বানরকে’ সবাই মেনে নিলেও এই লেজ রাখা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠছিল। সেই কারণেই গত শুক্রবার অস্ত্রোপচার করে ইয়াং ইয়াংয়ের ছয় ইঞ্চি লেজখানি বাদ দিতে হয়।
পিপলস চায়না ডেইলিকে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইয়াং ইয়াংয়ের নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে থাকে। মলত্যাগে প্রবল অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতো পরিবারের সবার প্রিয় ‘ছোট্ট বাঁদর’টিকে। বাড়তি এই প্রত্যঙ্গটির জন্য নিম্নাঙ্গে জোরই পেত না সে।
পরে চিকিৎসকরা শনাক্ত করেন ইয়াং ইয়াংয়ের ‘লেজ’ আসলে তার অঙ্গবিকৃতি, যা মায়ের পেটে আকার পাওয়ার সময় থেকেই শুরু হয়। সেই কারণেই নিম্নাঙ্গে জোর পাচ্ছে না সে। খুব তাড়াতাড়ি এই লেজ বাদ না দিলে ভবিষ্যতে আরো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ছোট্ট শিশুটি।
সেই কারণেই গতকাল শুক্রবার অস্ত্রোপচার করা হয় শিশুটির। শেষ খবর অনুযায়ী সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ‘লেজকাটা বানরে’ পরিণত হয়েছে ‘ছোট্ট বানর’ ইয়াং ইয়াং।