ক্যামেরনের বিদায়

‘আমি বিশ্বাস করি আজ আমাদের দেশ আগের চেয়েও দৃঢ়।’ সাধারণ মানুষের কাছে এ আশার কথাই শোনালেন ডেভিড ক্যামেরন। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়ার আগে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বক্তৃতা করেন ক্যামেরন।
আর এরপরই বাকিংহাম প্যালেসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন ক্যামেরন। বিবিসি জানায়, আজ বুধবার ছিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্যামেরনের শেষ দিন। এরপরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন টেরিসা মে।
ডাউনিং স্ট্রিটে ক্যামেরন বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা নীতি নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করেন, কিন্তু সবশেষে এটা মানুষের জীবন নিয়ে কথা।’ টেরিসা মে-কে তিনি শুভেচ্ছা জানান। টেরিসা ‘দৃঢ় এবং স্থিতিশীল নেতৃত্ব’ উপহার দেবেন-এ কামনা করেন তিনি।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সামান্থা আর সন্তান ন্যান্সি, ফ্লোরেন্স এবং আর্থার এলওয়েন।
ডেইলি টেলিগ্রাফকে ক্যামেরন বলেন, ‘আমি আজকে দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। কারণ আমি আশা করছি দেশের জনগণ একটি শক্তিশালী দেশ দেখতে পারবে। যে দেশকে আমি ভালোবাসি, তাকে সেবা করতে পারা একটি বিশাল প্রাপ্তি।’
দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। ব্রিটিশ জ্বালানিমন্ত্রী অ্যান্ড্রেয়া লিডসক প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার পর কনজারভেটিভ নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরিসা মে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য নির্বাচিত হন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ক্যামেরন। কিন্তু ব্রিটিশ ভোটাররা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে ভোট দিলে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেন।