ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিতর্কে আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতারা

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আমন্ত্রণে লন্ডনে রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতারা।
গত ১৯ জুলাই লন্ডনের হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত বিতর্কে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও ভবিষ্যৎ কোন পথে হাঁটবে সে নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধিরা পরস্পরের প্রতি অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করেন।
‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক দলের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে যোগ দিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধিদল ছাড়াও লন্ডন সফরে আসেন অন্য রাজনৈতিক দলের নেতারা।
নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেমিনারের কোনো বক্তব্য রেকর্ড করা বা ছবি তোলা সম্ভব না হয়নি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন রাজনীতিবিদরা।
বিতর্কের আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের গোড়াপত্তনের জন্য জামায়াতে ইসলামীকেই দায়ী করেন এইচ টি ইমাম। এনটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় তখন ছিল ইসলামী ছাত্রসংঘ। পরবর্তীকালে আবার তারা যখন সুযোগ পেয়েছে জিয়াউর রহমানের পরের থেকেই মন্ত্রী হয়েছে, দল গঠন করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র। একেক সময় একেক নাম।’
অন্যদিকে বিতর্ক শেষে বেরিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, সমগ্র বাংলাদেশকেই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সমস্ত জাতির একটা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রচেষ্টা চালাতে হবে দেশে যেন গণতন্ত্র ফিরে আসে। দেশে যাতে আইনের শাসন থাকে। দেশে যাতে মানবাধিকার থাকে।’
বিতর্কে অংশ নিয়ে এইচ টি ইমাম জানান, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
সেমিনার-পরবর্তী বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন এইচ টি ইমাম, পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।